সড়ক দুর্ঘটনায় চার মাসে নিহত ৮৮৮

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে সারাদেশে মোট ৯২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৮৮ জন নিহত এবং ৭১৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের এমপি বেগম পিনু খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

সরকার দলীয় এমপি দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে, এটি ঠিক নয়। এ বিষয়ে সরকারের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনায় সড়ক দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর হ্রাস পাচ্ছে। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪২৭টি। যা ২০১৬ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬৬টি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০-এর অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করতে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ধারাবাহিকভাবে প্রকল্প, কার্যক্রম ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সড়ক দুর্ঘটনা ও নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্যোগ হিসেবে সারা দেশের মহাসড়ক নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে ২২৭টি ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। তন্মধ্যে শতাধিক ব্ল্যাক স্পটে ইতোমধ্যেই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বা অনুরূপ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আবদুল মতিনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অব্যবহৃত ফাঁকা জায়গা প্রায়শই অসাধু লোকজন দখল করে থাকে। এ সব অবৈধ দখল উচ্ছেদে মাঠ পর্যায়ে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, মেহেরপুর ও পিরোজপুরে এই কার্যক্রম চলছে।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এমডিজি) ২০৩০ অর্জন, সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৪১ বাস্তবায়নের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।