হজ ফ্লাইট : এয়ারক্রাফট সংকটে বিমান

আগামী ১৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর কথা থাকলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখনও প্রয়োজনীয় এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করতে পারেনি। এদিকে ৪ জুলাই হজের ফ্লাইট শিডিউল বণ্টন করবে সৌদি আরব। এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য দুটি সুপরিসর (ওয়াইড বডি) উড়োজাহাজ লিজ নিয়েছে বিমান।

বিমানের বহরে উড়োজাহাজ কম থাকায় হজযাত্রী পরিবহনে সংকটের আশঙ্কা করছে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন (হাব)। অবশ্য অবশিষ্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরও দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিমান কর্তৃপক্ষ।

ভিসা জটিলতা, উড়োজাহাজ সংকটসহ নানা কারণে প্রতি বছরই হজ ফ্লাইট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় হজযাত্রীদের। এছাড়া প্রথমবারের মতো হজের বিমান টিকিটের বুকিং বাতিল করলে জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

গত বছরে হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ বিমান দুটি উড়োজাহাজ ভাড়া নিলেও লিজের উড়োজাহাজ পেতে দেরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক রুটে অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তখন বিমানের বহরে ১৩টি উড়োজাহাজ থাকলেও বর্তমানে দুটি কমে আছে ১১টি। এরই প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠুভাবে হজ ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্যে এবার চারটি উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। তবে দুটি উড়োজাহাজ লিজের চুক্তি হলেও বাকি দুটি পাওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি।

গত হজ মৌসুমে নিজস্ব উড়োজাহাজের পাশাপাশি লিজের উড়োজাহাজেও হজযাত্রী পরিবহন করে বিমান। নিজস্ব উড়োজাহাজে হজ ফ্লাইট চালাতে গিয়ে তখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট শিডিউল কাটছাঁট করতে বাধ্য হয় সংস্থাটি। যার বিরূপ প্রভাব পড়ে অগ্রিম টিকিট কিনে রাখা যাত্রীদের ওপর।

এবার এ ধরনের সংকট এড়াতে আগে থেকেই সুপরিসর চারটি উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিমান। ৩০০ আসনের ওইসব উড়োজাহাজের বৈমানিক, কেবিন ক্রুসহ (ওয়েট লিজ) লিজের সিদ্ধান্ত হয়।

সময় স্বল্পতার অজুহাতে মালয়েশিয়াভিত্তিক এম-এস ফ্লাই গ্লোবাল থেকে দরপত্র ছাড়াই সরাসরি দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিমান। এরই মধ্যে ৪০৬ আসন বিশিষ্ট দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ ওয়েট লিজে সংগ্রহের জন্য ফ্লাই গ্লোবালের সঙ্গে চুক্তিও করেছে বিমান।

দরপত্র ছাড়া উড়োজাহাজ লিজ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার একটু সমস্যা তৈরি হয়েছে। চলতি বছর বিমান প্রায় ৬৫ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে। বহরের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে এত বিপুলসংখ্যক হজযাত্রী পরিবহন করতে গেলে নিয়মিত ফ্লাইটে কাটছাঁট করতে হয়।