হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সাংবাদিকের জায়গা বেদখল করার হুমকি !! আদালতে মামলা

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে স্থায়ী বন্দোবস্তের আদেশপ্রাপ্ত ভূমিতে থাকা লোকজনকে জোরে বলে বেদখল করার হুমকি প্রদান করায় জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনারকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারী নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের দিঘীর পাড় গ্রামের মৃত তোয়াজ উল্লার পুত্র সাংবাদিক আহমদ আবুল কালাম গং বাদী হয়ে সহকারী জজ নবীগঞ্জ আদালতে ০৪ নং স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করেন।
এ প্রেক্ষিতে আদালত আসামীদের নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২৯৭৬ ইং সালে বাদীগণের পূর্ববর্তী মৃত তোয়াজ উল্লা নবীগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর মৌজার এস এ ১নং খতিয়ানের ১২০০ দাগ ও পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার খানপুর মৌজার ৪৭৯৮ দাগের ভুমি বন্দোবস্ত গ্রহণ করেন। এর পর সরকার বাহাদুরের নিকট থেকে ১৪১/৭৮ ইং তারিখে এস এ আপীল মামলায় আপোষ মোকদ্দমায় স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হন। একই মামলার কতেক ভুমি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার খান পুর মৌজার জে এল নং ২২১, ৪৭৯৮ দাগের ভুমি সরকার বাহাদুরের আদেশ তামিল করে দলিল সম্পাদন করে দিলেও নবীগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর মৌজার দাগের ভুমির ব্যাপারে আজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকার বাহাদুরের আদেশ তামিল না করায় সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।

এ ব্যাপারে বাদী পক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে বার বার আবেদন নিবেদন করেও এর কোন সুরাহা পাননি। ইদানীং নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মোমিন সহ তাদের লোকজন উপজেলার মোস্তফাপুর মৌজার এই ভুমি থেকে আহমদ আবুল কালাম গংদের বেদখল করার হুমকি প্রদান করেন।

এ ঘটনায় ওই ভূমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত মৃত তোয়াজ উল্লার পুত্র সাংবাদিক আহমদ আবুল কালাম,দুলাল আহমদ, মোঃ দিলাছ উদ্দিন, মোঃ এলাছ উদ্দিন, মোছাঃ সুহেনা খানম, মোছাঃ সুজেনা বেগম ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফুলবানু বেগম বাদী হয়ে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারকে আসামী করে সহকারী জজ নবীগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এরপর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি শুনানী শেষে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী বা অন্তবর্তী কালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হবে না?- এই মর্মে আসামীদের নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।