হবিগঞ্জে ছাত্রীকে কুপানোর অন্তরালে অন্য যুবকের সাথে রাত্রীযাপন!

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের ঘুমন্ত এক স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করে দূর্বিত্তরা ১০ মার্চ বুধবার। গোটা সিলেট জুড়ে চলে মিডিয়ায় আলোচনার ঝড়। লোক চোখের অন্তরালে ছিল ঘটনাকে ঘিরে নানা ধ্রুম জাল। অবশেষে তা গুমর ফাঁস হলো। স্থানীয় এক অনলাইন নিউজ পোর্টালে চলে আসে আসল রহস্য। পুলিশের ও এলাকার মানুষের কাছে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে থলের বিড়াল।

সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ঘুমন্ত এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশের সাড়াশি অভিযান চললেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। সেই সাথে ঘটনার কারণ নিয়ে রয়েছে দ্বিমত-ভিন্নমত।

স্কুলছাত্রীর পরিবার বলছে, বড় বোনের হত্যা মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় এই হামলা।

অন্য দিকে পুলিশ বলছে, প্রেমঘটিত কারণে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়েছে এক যুবক।

এদিকে, ঘটনার ক্লু হিসেবে স্কুলছাত্রীর ঘর থেকে এক যুবকের কাপড়, জুতা, মোবাইল ও কনডম উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ মার্চ) ভোরে বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামে ঘুমন্ত ওই স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এসময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আশঙ্কাজনক অবস্থার সকাল ১০টার দিকে তাকে সিলেটে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। বর্তমানে আহত স্কুল ছাত্রী ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানিয়েছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা মারা যাওয়ার পর জীবিকার তাগিদে তার মা অন্যত্র থাকনে। যে কারণে ছাত্রী একাই থাকত বাড়িতে।

তার মা জানান, তার বড় মেয়েকে তিন বছর আগে একই এলাকার কয়েকজন হত্যা করে। সেই হত্যা মামলার স্বাক্ষী ছিল ছোট মেয়ে। আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছিল।
এ কারণেই ছোট মেয়ের উপর হামলা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম বলেন, স্কুলছাত্রীর পরিবার দাবি করছে পূর্ব বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণায় বিষয়টি দেখা যাচ্ছে মূলত প্রেম ঘটিত কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর স্কুলছাত্রীর ঘর থেকে এক যুবকের কাপড়, জুতা, মোবাইল ও কনডম উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে বাকি তথ্য অভিযুক্ত যুবকে গ্রেফতারের পর জানানো হবে।

এদিকে পুলিশ সোর্স বলছে, একাধিক যুবকের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে এক যুবকের সাথে সে রাত্রীযাপন করে। বিষয়টি জেনে অপর প্রেমিক তার উপর হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ শামীম বলেন, ঘটনাটি শুনার পরই আমি পুলিশের সাথে পরিদর্শনে যাই। কিন্তু এখনও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ভিন্ন-ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এ ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার হলে বের হবে থলের বিড়াল ও ছাত্রী কুপানোর অন্তরালে কি ছিল।