হেফাজতের জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজায় লাখো মুসল্লি, দাফন সম্পন্ন

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের পর হাটহাজারীতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ইমামতি করেছেন তার মামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরাসহ লাখো মুসল্লি জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

মাদ্রাসার ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভীড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।

অবশেষে হাটহাজারীতেই বাবুনগরীর দাফন

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানেই দাফন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

দাফন নিয়ে শুরু থেকে ধোঁয়াশা থাকলেও জানাজার পর ছাত্রদের চাপের মুখে বাবুনগরীর মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় কবরস্থানের মূল ফটকের সামনে বাবুনগরীর পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের হৈচৈ করতে দেখা যায়।

এর আগে বাবুনগরীর দাফন গ্রামের বাড়িতে নাকি হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় হবে—তা নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক হয়। সবশেষ গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও শুরুতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই সময়ে হেফাজতের নায়েবে আমির সালাউদ্দিন নানুপুরী জানিয়েছিলেন, হেফাজতের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শফিকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল সেখানেই দাফন করা হবে বাবুনগরীকে।

প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল লাশ দাফন করা হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে বাবুনগরীর পারিবারিক কবরস্থানে। পরে সিদ্ধান্ত হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে শায়িত করা হবে।

এ নিয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল হয়।

উল্লেখ্য, ৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী।

বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন।

তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।