একান্তে সময় কাটাতে!

হোটেল রুমে মামুনুল হকের সাথে থাকা সেই ‘২য় স্ত্রী’ যা বললেন (ভিডিও)

নিজেদের মধ্যে একান্তে সময় কাটাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মামুনুল হকের ‘কথিত’ দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা তৈয়ব।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে স্থানীয় মামুনুল হকের সঙ্গে অবরুদ্ধ হন তিনি।

রিসোর্টটিতে ধারণ করা একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

এতে নিজেকে ফরিদপুরের আলফাডাঙার বলে পরিচয় দেন ওই নারী।

আমিনা তৈয়ব বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে দেখতে আমরা এদিকে এসেছি। জোহরের পর একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য এখানে এসেছিলাম। লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম।

এসময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি তো আপনার হাজবেন্ডের সঙ্গেই রয়েছেন- তাহলে এত লুকোচুরি কেন? তখন তিনি বলেন, আমার হাজবেন্ড ঠিক আছে, কিন্তু আমার হাজবেন্ড তো আর আট-দশটা হাজবেন্ডের মতে না। আমি সবার সামনে যেতে পারি না তাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে এক নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় জনগণ। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

মামুনুল হক ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন তিনি। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে অবস্থান করেছেন- এমন খবরে স্থানীয় লোকজন সেখানে আসে। এর পরেই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।

মাওলানা মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।

তবে হোটেল থেকে মুক্ত হয়ে বাইরে বেরিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হক তার স্ত্রীকে ফোন করে বলেছেন, তার সঙ্গে থাকা ওই নারী জনৈক শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। পরিস্থিতির কারণে তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

সেই ফোনালাপ ফাঁস হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

স্ত্রীর সঙ্গে মামুনুল হকের সেই ফোনালাপের অডিও ক্লিপটির কথোপকথনটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হল-

আসসালামু আলাইকুম
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ

পুরো বিষয়টা আমি তোমাকে সামনে এসে বলব। ওই মহিলা যে ছিল সে হলো আমাদের শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের ওয়াইফ। ওটা নিয়ে সেখানে পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে, এটা বলা ছাড়া…. আমাকে ইয়ে করে ফেলছে-বুঝছো?

আচ্ছা, বাসায় আসেন, তারপর যা বলার বইলেন

বলুম তো, তুমি বিষয়টা.. অন্যান্য কথা অন্যদের বলতে হবে। পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে। তুমি আবার মাঝে অন্যকিছু মনে কইরো না। তোমাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবা, হ্যাঁ, আমি বিষয়টা জানি।

ঠিক আছে

এদিকে রাত ১০ টার পর ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি তাকে বিয়ে করেছেন। এ সময় মামুনুলের সঙ্গে তার ভাইয়েরা উপস্থিত ছিলেন।

লাইভে দেওয়া বক্তব্যে সমর্থকদের উত্তেজনা না ছড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার বিকালে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে এক নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় জনগণ। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

মামুনুল হক ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে অবস্থান করেছেন- এমন খবরে স্থানীয় লোকজন সেখানে আসে। এর পরেই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।

মাওলানা মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন (সংগৃহিত)

আরেকটি ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন (সংগৃহিত)

ফোনালাপ ফাঁস, দেখতে ক্লিক করুন (সংগৃহিত)