৪৫০ টাকায় এক কেজি ওজনের ইলিশ!

ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ও চর হাজীগঞ্জ বাজারে ইলিশ কেনাবেচার ধুম পড়েছে। মাত্র ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় মিলছে এক কেজি ওজনের ইলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মাছের ডালায় শোভা পাচ্ছে নানা আকৃতির রুপালি ইলিশ। শুধু বাজারেই নয়, ইলিশ বিক্রি হচ্ছে নদীতীরের বিভিন্ন খেয়াঘাট এলাকায়। মাছ কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারাও। চরভদ্রাসন সদর ও হাজীগঞ্জ মাছের বাজারে এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। আর এক কেজির নিচে নানা আকৃতির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে বলে জানা যায়, পদ্মা নদীতে তাঁদের জালে এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারছেন।

চরভদ্রাসন সদর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শামছু, ইকলাছ, আবদুল ওহাব ও চর হাজীগঞ্জ বাজারের বিসু, গৌর, তাপস জানান, চলতি মৌসুমে পদ্মার ইলিশে ভরপুর থাকে মাছ বাজার। নিষেধাজ্ঞার পর গত দুদিনে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। তাই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

হাজীগঞ্জ বাজারে ইলিশ কিনতে আসা পার্শ্ববর্তী বেপারীডাঙ্গী গ্রামের মো. বাচ্চু খন্দকার বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত মাসে ইলিশ কেনা হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বড় সাইজের ১৫ কেজি ইলিশ মাছ কিনলাম।’

উপজেলার গোপালপুর ঘাট ও হাজীগঞ্জ বাজার ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে শত শত জেলে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ ধরছেন।

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সগীর হোসেন বলেন, ‘এ বছর মা-ইলিশ রক্ষায় নদীতে অব্যাহতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনেক জেলেকে জেল-জরিমানা করার পাশাপাশি কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়। গত দুদিন ধরে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরা বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’