৫ দিনের ছুটি শেষে থানায় ফিরলেন বনানীর ওসি

রাজধানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় নানা ‘বিতর্ক’ সৃষ্টি করে পাঁচদিনের `পারিবারিক` ছুটিতে যাওয়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিএম ফরমান আলী কাজে যোগদান করেছেন।

রোববার ভোরে তিনি থানায় প্রবেশ করে নিয়মিত কাজ শুরু করেন।

বনানী থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) গোবিন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৮ মার্চ রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে এসে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর মামলা নিতে বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে ফরমান আলীর বিরুদ্ধে। ওই দুই তরুণীর অভিযোগ, মামলা দায়েরের জন্য তারা দুইদিন ঘুরলেও ওসি নানান অশ্লীল প্রশ্ন করে তাদের বিব্রত করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি, নিজের মোবাইল ফোনে তরুণীদের ছবিও তুলে রাখেন।

এদিকে, মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে আসামিদের গ্রেফতারে গড়িমসি করারও অভিযোগ রয়েছে ওসি ফরমান আলীর বিরুদ্ধে।

সোমবার এসব নিয়ে গুঞ্জন যখন তুঙ্গে তখনই একদিনের তড়িৎ নোটিশে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পাঁচদিনের ছুটিতে যান তিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছিল তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, ধর্ষণের মামলা নিতে বনানী থানার কর্তব্যে কোনো অবহেলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারকে (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স)। অপর দুইজন হচ্ছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন ও ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়।

গত ২৮ মার্চ রেইন ট্রি হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। তাদের ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে রেগনাম গ্রুপের পরিচালক সাদমান সাকিফ, তার বন্ধু আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলে নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে।

দীর্ঘ ৪০ দিন পর গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন দুই তরুণী। কিন্তু মামলা নিয়ে সময়ক্ষেপণ করে পুলিশ।