ধর্ষিতা সেই বালিকার সন্তান কোথায় যাবে?
ভারতে দশ বছর বয়সী যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়ে একটি কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছে। সে এবং তার শিশু সন্তান দুজনেই ভালো আছে।
বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন মেয়েটির চিকিৎসক ডা. ডাসারি হারিশ।
পরিবারের সদস্য দ্বারা ধর্ষিত মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর তাকে গর্ভপাত করানোর জন্য আদালতের অনুমতি চেয়েছিল মেয়েটির পরিবার। মেয়েটির জীবন এতে বিপন্ন হতে পারে এমন আশংকায় আদালত এ আবেদন নাকচ করে দেয়।
বৃহস্পতিবার সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে মেয়েটির সন্তান ভূমিষ্ট হয় চণ্ডিগড়ের এক হাসপাতালে। মেয়েটির চিকিৎসক ডা. ডাসারি হারিশ জানান, মেয়েটিকে অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় তারা শুক্রবারেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
মেয়েটি যে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে সেটি তাকে জানানো হয়নি। তাকে বলা হয়েছে, পেটের ভেতর বড় একটি পাথর ধরা পড়েছে। সেটি অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
মেয়েটি অভিযোগ করেছিল, তাকে তার চাচা কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করেছে। এই লোকটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মেয়েটি যে গর্ভবর্তী হয়ে পড়েছে, তা ধরা পড়ে গত জুলাই মাসে। পেটে ব্যাথা হচ্ছে বলে সে তার বাবা-মাকে জানিয়েছিল। তখন তাতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
মেয়েটি যে সন্তানের জন্ম দিয়েছে তার ওজন দুই দশমিক দুই কেজি। ১৬ সদস্যের যে চিকিৎসক দল মেয়েটির শরীরে অস্ত্রোপচার চালায়, তার প্রধান ছিলেন ডা. হারিশ।
তিনি জানান, দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই অপারেশন চলে। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক হয়েছে।
তিনি জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মঙ্গলবার মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।
মেয়েটি যে সন্তান জন্ম দিয়েছে, তার পরিবার সেটিকে নিতে চায়নি। তাই এ শিশুটিকে দত্তক দেয়া হবে। তার আগে পর্যন্ত একটি শিশুকল্যাণ কমিটি শিশুটির দেখাশোনা করবে।
ভারতে এই মেয়েটির ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে আদালতে আইনি লড়াই এবং সন্তান জন্ম দেয়ার এই ঘটনা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন