ইসলামের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর জামায়াত : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘ইসলামের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর জামায়াতে ইসলাম। তারা ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ওই দলটি ধর্মের দোহাই দিয়ে একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। গনিমতের মাল বলে নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে।’
শুক্রবার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি আয়োজিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের পাঁচ দিনব্যাপী রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানুষের মাঝে নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে ইমাম ও আলেম সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হানিফ। বলেন, মানুষের নৈতিক অধঃপতন সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা। মানুষের নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধ কমে যাচ্ছে। মানুষের নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে পারে ইমাম ও আলেম সমাজ।
ইসলামের জন্য জাতির জনকের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশে ইসলামের প্রচার প্রসারে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে জায়গা বরাদ্দ করেছেন। হজযাত্রীদের জন্য ‘হিজবুল জাহাজ’ ক্রয় করেছেন। জাতির পিতা মদ, জুয়া ও হাউজি নিষিদ্ধ করেছেন। রেসকোর্স ময়দানে ঘৌড়দৌড় নিষিদ্ধ করেছেন।
সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন- এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যদি নিজেকে নির্দোষ ভাবেন তাহলে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন।
হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও নিরাপত্তা বিবেচনা করে কারাগারের পাশে আদালত স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য বিএনপি সংবিধান লঙ্ঘনের যে অভিযোগের জবাবে তিনি বিএনপি’র কাছে জানতে চান যে জিয়াউর রহমান যখন কারাগারের ভিতর আদালত বসিয়ে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিয়েছে তখন কি সংবিধান লঙ্ঘিত হয়নি?
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ইসলামকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের যে বিকৃত দর্শন বাংলাদেশে জামায়াত, মিসরে ব্রাদারহুড চালু করেছে তার সাথে প্রকৃত ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, আরবি কারিকুলামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছর একযোগে সারাদেশে ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চালু করেছেন। কোনো সরকার প্রধান কর্তৃক একসাথে এতগুলো মাদ্রাসা চালু করার ইতিহাস নেই।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। অন্যান্যদের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনর সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রেস ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিক উল ইসলামসহ ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শতাধিক ইমাম উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন