পহেলা বৈশাখে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া মোটরসাইকেলে চড়া যাবে না
সিলেটে পহেলা বৈশাখকে মোটরসাইকেলে কেবল স্বামী বা স্ত্রী একসঙ্গে বসতে পারবেন। অন্যথায় চালক ছাড়া অন্য কোন আরোহী বহন করা যাবে না। একযোগে বা দলগতভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি বা যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষে সিলেট মহানগর পুলিশের জারি করা নির্দেশনায় এই কথা বলা হয়েছে।
বাঙালির অন্যতম বড় উৎসব পহেলা বৈশাখকে নির্বিঘ্ন করতে সিলেটে নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার বাইরে কেউ কোনও ধরনের কার্যক্রম কিংবা অপচেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় সিলেট জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার থেকে মহানগরজুড়ে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। পাশাপাশি মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বাসানো হয়েছে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি। আর সার্বিক অবস্থা তদারকি করার জন্য পুরো মহানগরজুড়ে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকটি ইউনিট।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, ‘ইতোমধ্যে সিলেট পুলিশ সদর দফতর থেকে মহানগর পুলিশের ছয়টি থানার ওসি ও সহকারী পুলিশ কমিশনারদের সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি মহানগরীর বাসিন্দাদের সর্তক করে ১৩টি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পুলিশের নির্দেশনার বাইরে কেউ কোনও কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরো জানান, সিলেট মহানগর এলাকায় কোনো ধরণের আতশবাজি, পটকা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ব্যাগ, থলে, পোটলা, সুটকেস, টিফিন ক্যারিয়ার বা এ জাতীয় কোন বস্তু বহন না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খোলা ট্রাকে বাদ্যযন্ত্র বা সাউন্ড বক্স নিয়ে সিলেট মহানগর এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না এবং কোনও ধরণের রং ছিটানো যাবে না। অনুমোদিত অনুষ্ঠান আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্থাপন/ ভিডিওচিত্র ধারণ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশের দেওয়া নির্দেশনা রবিবার রাত পর্যন্ত বলবত থাকবে।
সিলেট র্যাব-৯ এর সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বিঘ্নে বর্ষবরণ উদযাপনের লক্ষ্যে র্যাবের টহল টিমের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাবে র্যাব। এছাড়াও সিলেটে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে অনুষ্ঠান মঞ্চের আশপাশে র্যাবের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা টিমের নজরদারি থাকবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন