পীরগঞ্জে নিখোঁজের ৩দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ১

রংপুরের পীরগঞ্জে নিখোঁজের ৩দিন পর ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে রাতেই এক কিশোরকে গ্রফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টায় উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের পালগড় গ্রাম সংলগ্ন অগভীর নলকুপ ঘর থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, পালগড় গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র ও শাল্টি সমস দিঘী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্র নাইফুল ইসলামকে প্রতিবেশী আব্দুস সালাম এর পুত্র সামিউল ইসলাম (১৪) গত ২৩ এপ্রিল শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ঐদিন থেকেই নাইফুল নিখোঁজ। নাইফুল ও সামিউলের মধ্যে সামান্য বয়সের ব্যবধান থাকলেও একই গ্রামের হওয়ায় তাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় দু’বন্ধু মিলে স্থানীয় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজও করতো। স্কুল ছাত্রের পরিবার নাইফুলের সন্ধান চেয়ে সামিউলকে বারবার জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, আমরা দু’জন একসঙ্গে স্থানীয় কলোনী বাজারে যাই। বাজার থেকে নাইফুল কোথায় গেছে তা সে জানেনা।

সামিউলের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে নাইফুলের পরিবার পুলিশে সংবাদ সংবাদ দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নাইফুল হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। সামিউলের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ পালগড় গ্রাম সংলগ্ন তাদের নিজের অগভীর নলকুপ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা নাইফুলের লাশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, সামিউল অল্প বয়সে ড্যান্ডি নামক নেশায় আসক্ত ছিল। নাইফুল নিখোঁজ হওয়ার দিনগত রাতে সামিউল তাদের অগভীর নলকূপ ঘরে নাইফুলকে ডেকে নিয়ে যায় এবং গভীর রাত পর্যন্ত ড্যান্ডি নেশা করে। এক পর্যায়ে নাইফুল অচেতন হয়ে পড়লে সামিউল তাকে রেখেই বাড়ি চলে আসে। পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নাইফুলকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে জাগানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সে নাইফুলকে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে নলকূপ ঘরের মেঝে খুঁড়ে মাটির পুঁতে রাখে।

এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান আসাদ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।