যশোরের ঝিকরগাছায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে সরিষার চাষ, খরচের ৮ গুন লাভ!!

স্বল্প সময়কাল হওয়ায় ও অধিক লাভের আশায় এবার যশোরের ঝিকরগাছায় সরিষার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

ঝিকরগাছা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে উপজেলায় মোট ৪১০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২০০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল।

বর্তমানে কৃষকরা উন্নত জাতের বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-১৭, বারী-১৮, বিনা-৪, বিনা-৭, বিনা-৯ এবং টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা ও সরিষা তেলের দাম বেশি হওয়ায় চলতি বছরে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

এছাড়াও স্বল্প জীবনকালের উন্নতমানের আমন ধান কাটার পর সরিষা চাষ এবং সরিষার পর স্বল্প জীবনকালের উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করে একই জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদন করে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

গঙ্গানন্দপুরের কৃষক আব্দুস সালাম জানান, এবছর ৬৭ শতাংশ জমিতে উন্নত জাতের টরি-৭ সরিষা চাষ করেছি। বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশে) খরচ হবে তিন থেকে চার হাজার টাকা। সরিষা হবে ৮-৯ মন। প্রতি মণ (৪০ কেজি) সরিষার বাজার মূল্য তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা থাকবে। যা দিয়ে তিনি প্রায় ৭-৮ গুণ লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

মাগুরার কৃষক সাজ্জাদুল জানান, ভারতীয় রড মিনিকেট ধান চাষের পর বারি-১৪ সরিষা চাষ করেছি । সরিষা কেটে আবার রড মিনিকেট ধান চাষ করবো। ফলে অধিক ফসল ঘরে তুলে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, বর্তমানে সরকার সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বাজারে সরিষার ভালো দাম পাওয়া, নতুন নতুন উন্নত জাতের উদ্ভাবনের ফলে ফলন বৃদ্ধি এবং পতিত জমিতে মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা চাষের মাধ্যমে লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সব সময় এগুলো মনিটরিং করছে। সার ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে শস্য কর্তন পর্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পরামর্শ নিয়ে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।