পাবনার ঈশ্বরদীতে ইউনানী ঔষুধ কোম্পানির মালিক মাহবুব আলম কারাগারে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আলোচিত সাংবাদিকের ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী, নিষিদ্ধ যৌন উত্ত্যেজক সিরাপ প্রস্তুতকারী এমএমই ল্যাবরেটরি ইউনানী ঔষুধ কোম্পানির মালিক মাহবুব আলম কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে আসামী মাহবুব আলম আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে পাবনা সিনিয়র জুডিশিয়াল (আমলী ২) বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সুকান্ত শাহা জামিন নামঞ্জুর করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে নিষিদ্ধ যৌন উত্ত্যেজক সিরাপ তৈরীর খবর সংগ্রহ করতে ওই কারখানায় গেলে দৈনিক মুক্তখবরের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনদাবীর স্টাফ রিপোর্টার শিশির মাহমুদ (২৬) এবং এশিয়ান টিভির ঈশ্বরদী প্রতিনিধি রাসেল আলী (২৬) হত্যা চেষ্টার উদ্দ্যেশ্যে গুরুত্বর আহত করে ৩ ঘন্টা জিম্মি করে রাখেন। খবর সংগ্রহের অত্যাধুনিক দুটি ক্যামেরা এমএমই ল্যাবরেটরি ইউনানী নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ওষুধ কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মাহবুব, তার ম্যানেজার ও কোম্পানির কাজ এ নিয়োজিত শ্রমিকরা দুটি অধ্যাধুনিক ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে।
এসময় ঐ কারখানার এক্যাউন্টন্স ম্যানেজার শিমুল কৌশলে কারখানার মুল ফটক বন্ধ এবং বিদ্যুৎ এর মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়। পরে মালিক মাহাবুব আলমসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিকদ্বয়কে ঘরে আটকে রেখে বেদম মারধর এবং ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে।
এসময় লোহার রড, জিআই পাইপ, লোহার হাতুড়ির আঘাতে শিশিরের মাথা ফেটে যায়। ঐদিন রাতেই সংবাদকর্মী শিশির মাহমুদ বাদী হয়ে মালিক মাহবুব আলম কে প্রধান আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় এজাহার দায়ের করেন।
অদৃশ্য কারণে ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আসামী গ্রেফতারে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে। ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ ডিসেম্বর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঈশ্বরদীতে কর্মরত সাংবাদিকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন