দফা এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ : মির্জা ফখরুল ইসলাম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এখন আর ১০ দফা নয়, ২০ দফা নয়, দাবী মোদের একটাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ। দফা এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পাশাপাশি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
শনিবার (২০ মে) বিকেলে লালমনিরহাট কালেক্টরেড মাঠে জেলা বিএনপির বিশাল এক জনসভায় প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রংপুর থেকে যখন লালমনিরহাটে প্রবেশ করি। তখন দেখি রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। সরকার বলছে উন্নয়ন আর উন্নয়ন। উন্নয়ন আওয়ামী লীগের ঘরে হচ্ছে বাইরে নয়। আওয়ামীলীগ নেতারা ব্যাংকের টাকা ভরছে, আর দেশের বাইরের বাড়ি করছেন। দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে সরকার।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি আজ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কাঁচা বাজার থেকে এসব জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। জনগনের কোন উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে সব আওয়ামীলীগের। এখন আমাদের দাবি হচ্ছে অবৈধ ফ্যসিবাদ সরকারের পদত্যাগ। এরপর নিরপেক্ষ তত্বাবাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
কৃষক আন্দোলনের নেতা নুরল দীনের নাম উল্লেখ কওে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের এই এলাকায় তার বাড়ি। যিনি কৃষক আন্দোলনে ডাক দিয়েছিলেন- কোনটে বাহে জাগো সবায়। আজকে আবার সেই ডাক এসেছে। আজকে আবার কারাগারের অভ্যান্তর থেকে গৃহবন্দী থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে”। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বলেছেন- ‘ফয়সালা কবে রাজপথে। ফিডব্যাক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম। সেই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করেছিলে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে। সেই বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনবো”।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বহু নিযার্তন আমরা গত ১৭ বছর থেকে সহ্য করেছি। বহু অত্যাচার আমাদের উপরে হয়েছে। খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমুলের একজন সাধারণ কর্মীর নামে শুধু মামলা আর মামলা। পরিস্কার বলে দেই, মামলা হামলা আর গুম করে আপনারা (আ’লীগ) আমাদের দমাতে পারবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওনি বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমেরিকা ওনাকে চাইনা। তাই আওয়ামীলীগের ভাইরা যারা বলেন খেলা হবে। তাদেরকে বলতে চাই, আপনাদের ক্যাপ্টেন দুর্বল হয়ে গেছে। তাহলে আমাদের সাথে খেলবেন কি করে?।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যাপক আসাদুল হাবিব দুলু‘র সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা একেএম মমিনুল হক, রোকন উদ্দিন বাবুল প্রমূখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন