যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপিই যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়, এ গুনই আছে তাদের। একমাত্র আওয়ামী লীগ দেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে দেশে জ্বালাও-পোড়াও ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে বিএনপি। রাজধানীর কলাবাগান মাঠে সোমবার বিকালে নির্বাচনি জনসভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে বিকাল ৩টা ১৭ মিনিটে মঞ্চে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।

সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, অস্বাভাবিক সরকার হলে তাদের মূল্য বেড়ে যায়। আমরা নাকি তাদের মূল্য বুঝি না। কার কত মূল্য তা মেপে দেখতে হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা নির্বাচনে হেরে যাবে বলে ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশিদের ধর্না ধরছে। আন্দোলনের নামে নাশকতা করছে। নির্বাচন বন্ধ করবে এতো সাহস তাদের নেই।

প্রধানমন্ত্রী সবাই ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, সকাল সকাল ভোট দেবেন। কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দমিয়ে রাখতে পারবে না।

শেখ হাসিনা এ সময় ঢাকার সংসদীয় আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এ জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসরণের শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে নির্বাচনি জনসভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে অনাপত্তি জ্ঞাপন করা হলো।