এমপি আজিমের হাড়-খুলি উদ্ধারে নতুন উদ্যোগ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নৃশংসভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশের অংশ বিশেষ উদ্ধারে তৎপর রয়েছে কলকাতার পুলিশ। আনারের হাড় ও খুলি উদ্ধারে এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে তারা। নোংরা পানি থেকে দেহের হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করতে এবার ভারতীয় নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিআইডি।
রোববার আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ওই খুনের ঘটনায় আটক জিয়াদ হাওলাদারের দাবি ছিল, আজিমের দেহের হাড় এবং মাথার অংশ টুকরো টুকরো করে ভাঙড়ের পোলেরহাট থানা এলাকার কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে ফেলা হয়েছে। সেখানে গত সাত দিন ধরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়েও কিছু পাওয়া যায়নি। খালের পানি নোংরা, ঘোলা এবং মাটি ভর্তি। উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ওই হাড় বা মাথার খুলির অংশ উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছেন সিআইডির কর্তারা।
সিআইডির এক কর্তা জানান, ওই উন্নততর প্রযুক্তি রয়েছে নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে। তাই তাদের ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালালে এমপি আনারের দেহের ওই অংশ উদ্ধার করা যেতে পারে। এটা ধরে নিয়েই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ভবানী ভবনের তরফে। তবে তা ফলপ্রসূ হবে কি না তা পরবর্তী সময়ে বোঝা যাবে বলে ওই কর্তা জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে নিউ টাউনের বিলাসবহুল আবাসনের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে যে মাংসপিণ্ড উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো ওই এমপির কি না, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মাংসপিণ্ড উদ্ধার হলেও আজিমের দেহের হাড়় কিংবা মাথার অংশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি সিআইডি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই ফরেন্সিক রিপোর্ট আসবে। তা পজিটিভ হলে সাংসদের মেয়ে কিংবা তার কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের জন্য পাঠানো হবে ল্যাবরেটরিতে। প্রায় একইসঙ্গে হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করা গেলে তদন্তের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
আনন্দবাজার লিখেছে, এ দিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, নেপালে আটক হয়েছে ওই খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিয়াম হোসেন। সিআইডির তরফে ওই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। যদিও সিয়ামকে হাতে পেতে সব রকম চেষ্টা চলছে বলে সিআইডি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিউ টাউনের আবাসনে ১৩ মে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুন করা হয়। অভিযোগ, তার দেহ টুকরো টুকরো করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সিয়াম। ঘটনার কয়েক দিন পরেই সিয়াম কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশের মজফ্ফরপুর হয়ে নেপাল চলে যান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন