এক রুম দখলে নিতে ছাত্রলীগের তিন তালা

আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের একটি আবাসিক কক্ষ দখল করতে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। এর ফলে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গত দুদিনে ওই কক্ষে একে একে তিনটি তালা পড়েছে।

হল সূত্র জানায়, এসএম হলের ৫১ নম্বর কক্ষে থাকেন লোকপ্রশাসন বিভাগের আবাসিক ছাত্র রেজা আল নাহিয়ান। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পদক ছিলেন। সে সময় হল শাখার সভাপতি ছিলেন মেহেদি হাসান আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দিদার মো. নিজামুল ইসলাম।

অভিযোগ রয়েছে, কক্ষটির বাসিন্দা আল নাহিয়ান গতকাল তালা দিয়ে নিজের বাড়ি কক্সবাজারে চলে যান। তার পরই রাতে এসে কক্ষটি দখলে নিতে তালা ঝুলিয়ে দেন হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সানাউল্লাহ সায়েম। এর কিছু পরে এসে আরেকটি তালা দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। অন্যদিকে সায়েমের বাড়ি উত্তরবঙ্গে।

কক্ষটির বর্তমান বাসিন্দা রেজা আল নাহিয়ান বলেন, তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের এলাকা কক্সবাজারের উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। যাওয়ার আগে তিনি কক্ষে তালা দিয়ে যান। পরে তিনি শুনতে পান, তাঁর কক্ষে আরো দুটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে আল নাহিয়ান অভিযোগ করেন, ‘আমি এ মাসেই রুম ছেড়ে দিতাম। কিন্তু আঞ্চলিক রাজনীতির জেরে উত্তরবঙ্গ গ্রুপের নেতা ও হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সানাউল্লাহ সায়েম কক্ষটি দখলের জন্য তালা দেন। আরেকটি তালা কে দিয়েছেন, তা আমি বলতে পারি না।’

কক্ষে তালা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সানাউল্লাহ সায়েম। তিনি বলেন, ‘ওই কক্ষটি আল নাহিয়ান এই মাসেই ছেড়ে দেবে। সেখানে দুজনকে ওঠানো হবে। আমাদের গ্রুপের একজনকে ওঠাব। সে জন্য তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই কক্ষে নিজের অনুসারীকে ওঠানোর জন্য আরেকটি তালা ঝুলিয়ে দেন হলের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল।’

অভিযোগের বিষয়ে তাহসান আহমেদ রাসেলকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

কক্ষ দখলের বিষয়ে জানতে এসএম হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।