ঐশ্বরিয়ার পোশাক তৈরিতে লেগেছে ১২৫ দিন!

১৬ বছর ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হচ্ছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। মাতৃত্বের কারণে চলচ্চিত্র থেকে কিছুদিন বিরতি নিলেও ফরাসি এই চলচ্চিত্র উৎসব থেকে বিরতি নেননি বলিউডের এই অভিনেত্রী। ২০০২ সালে প্রথম কানে আমন্ত্রণ পান। এরপর থেকে তিনি কানের নিয়মিত অতিথি। একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত হয়ে এবারও কানের লালগালিচায় পা পড়েছে তাঁর। প্রথম দিনের পোশাকেই তিনি গণমাধ্যমের আলোচনায় উঠে এসেছেন।

ফরাসি ছবি ‘গার্লস অব দ্য সান’-এর প্রদর্শনীতে এই নায়িকা ফিলিপাইনের ফ্যাশন ডিজাইনার মাইকেল সিনকোর নকশা করা একটি গাউন গায়ে চাপিয়ে হাজির হন। ‘প্রজাপতি’ স্টাইলের গাউনটি মারমেইড বা মৎস্যকন্যা ছাঁটের।

ফিলিপাইনের হলেও মাইকেল সিনকো দুবাইভিত্তিক ডিজাইনার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর নকশা করা পোশাক পরে কানের লালগালিচা মাতালেন ঐশ্বরিয়া। গতবার এ চলচ্চিত্র উৎসবের ৭০তম আসরে এই নায়িকা উপস্থিত হয়েছিলেন রূপকথার রাজকন্যা ‘সিনড্রেলা’ রূপে। আর এবার এসেছেন ‘প্রজাপতি’র বেশে। ‘হারপার্স বাজার’ সাময়িকীকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ডিজাইনার মাইকেল বলেন, ‘এই গাউনের মাধ্যমে আমি একটি গুটিপোকার প্রজাপতি হয়ে ওঠার সুপ্ত অহংকারকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’

মাইকেল সিনকো বিখ্যাত ব্র্যান্ড সরাভোস্কির এক প্রদর্শনীর জন্য গাউনটি তৈরি করেন। কিন্তু ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন তার আগেই এটিকে নিজের করে নেন। পরে ডিজাইনার পোশাকের প্রতিটি খুঁটিনাটি ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে আলাপ করেই তৈরি করেছেন।

ঐশ্বরিয়ার এই অন্য রকম গাউন সরাভস্কি ক্রিস্টাল দিয়ে খচিত। আলট্রা ভায়োলেট, মিডনাইট ব্লু রঙের সম্মিলনে তৈরি এই গাউনে লাল সুতা দিয়ে নকশা করা হয়েছে। স্লিভলেস এই গাউনের লেজ ২০ ফুট লম্বা। আর পুরো গাউন তৈরি করতে সময় লেগেছে ১২৫ দিন।

২০১৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বরিয়া ঠোঁটের নীল লিপস্টিক নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন। এবার এই প্রজাপতি ঢঙের গাউনে তা পুষিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর ফ্যাশনের একটি বড় দিক হলো, তিনি যে পোশাকই পরেন না কেন, তা বহন করেন প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। আর তাঁর সম্পর্কে মাইকেল সিনকোর ভাষ্য, ‘ঐশ্বরিয়ার স্টাইল শুধু সুন্দরই নয়, তাঁর স্টাইলে ক্ষমতায়নেরও প্রকাশ ঘটে।