দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভোট দিচ্ছে আফগানরা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আফগানিস্তানের সংসদীয় নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। তালেবানের পতনের পর ২০০১ সালের পর তৃতীয়বারের মতো ভোট দিচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ।

২০১৫ সালে এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা শঙ্কা ও ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সংস্কারের জন্য তা পেছাতে পেছাতে চলতি বছরে এসে ঠেকেছে। শনিবার সকাল সাতটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষ হবে বিকাল চারটায়।

আফগান কর্তৃপক্ষ জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে যে, ভোট গ্রহণ নিরাপদ হবে। কিন্তু দেশজুড়ে তালেবান সশস্ত্র বাহিনীর ক্রমাগত সহিংসতার কারণে এখনও অনেকেই আতঙ্কিত।

এদিকে, এই নির্বাচনকে মূল্যহীন উল্লেখ করে বিপর্যয় ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, নিরাপত্তা সহায়তা দিয়ে যারা এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সফলের চেষ্টা করবে সেসব লোকজনকেই লক্ষ্য করা হবে।

দেশের ৩৩টি প্রদেশে পাঁচ হাজার ১শ কেন্দ্রে ২১ হাজার পোলিং স্টেশনে ভোট গ্রহণ চলছে। আফগান পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ মেশেরানো জিগরা এবং নিম্নকক্ষ ওলেসি জিগরার। শনিবার নিম্নকক্ষের ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এর মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।

নিম্নকক্ষে মোট ২৫০টি আসন। এর মধ্যে ১০টি আসন কুচিস এবং একটি যৌথভাবে শিখ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষীত। নিম্নকক্ষে ৬৮ জন নারী প্রতিনিধি থাকবে। প্রতিটি প্রদেশে অন্তত একজন করে নারী প্রতিনিধি থাকবে।