দুধের শিশুকে নিয়ে ডিউটি, অতঃপর…

সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি সবারই কমবেশি জানা আছে। সেই শক্তিটা ইতোমধ্যেই আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ্য করেছি। মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের সমস্যায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এমনকি অপরাধ দমনেও সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা ইতিবাচক বলে মনে করা হয়।

কিছুদিন আগে স্ত্রীকে মিষ্টি খাওয়ানোর অপরাধে সন্তানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন বাবা। প্রতিবেশিদের মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরদিনই অপরাধী ছেলেকে আটক করেছে ভারতের পুলিশ। কিন্তু এবার এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের একটি ছবি ভাইরাল হওয়াতেও সমাধান পেয়েছেন ওই নারী।

ভারতের উত্তর প্রদেশের এক নারী কনস্টেবলের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভারতের ঝাঁসির পুলিশ কনস্টেবল অর্চনা জয়ন্তের সেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন তার সিনিয়র রাহুল শ্রীবাস্তব। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে তার পছন্দের স্থান আগ্রায় বদলি করা হয়েছে।

ভারতের গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, ছবিটিতে দেখা গেছে অর্চনা তার ৬ মাসের বাচ্চাকে ডেস্কে শুইয়ে রেখেছেন। পাশেই দাঁড় করানো আছে দুধের বোতল। অর্চনা মগ্ন রয়েছেন অফিসের ফাইলে। ওই ছবি প্রকাশ হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যজুড়ে।

অর্চনা কাজ করতেন ঝাঁসির একটি থানার রিসিপশনে। বাড়িতে শিশুটিকে দেখভাল করার কেউ নেই। স্বামী থাকেন গুরুগ্রামে। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়েছে কানপুরে। বাবা-মা থাকেন আগ্রায়। ফলে ওই ছবি দেখার পরই অর্চনাকে আগ্রায় বদলি করে দেন রাজ্যের ডিজিপি ওম প্রকাশ সিং।

ওম প্রকাশ সিং বলেন, ‘ছবিটি দেখা পর আমি ঝাঁসির আইজির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি অর্চনা খুবই পরিশ্রমী। সন্তানের জন্য ছুটি না নিয়েই তিনি ডিউটি করছেন। পরে তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, অর্চনাকে পরিবার কোনোভাবেই সাহায্য করতে পারছে না।’

ওম প্রকাশ সিং আরও বলেন, ‘ওর বাবা-মা আগ্রায়। শ্বশুরবাড়ি কানপুর। বোনও থাকেন কানপুরে। কিন্তু সেখানে অর্চনাকে ট্রান্সফার করা যাবে না কারণ সেখানে তার শ্বশুরবাড়ি। শেষপর্যন্ত তার পছন্দ অনুযায়ী তাকে আগ্রায় বদলি করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে অর্চনা বলেন, ‘এবার বড় মেয়ে কনককে আগ্রায় আনব। বহুদিন বাবা-মা, স্বামীর সঙ্গে দেখা হয়নি। এবার ওদের সঙ্গে থাকতে পারব। ঝাঁসিতে অনেক সমস্যা হতো। তবে সহকর্মীরা অনেক সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’