প্রসবের সময় হ্যাঁচকা টানে দুই টুকরো শিশু

প্রসবের সময় নবজাতকের পা ধরে এমন হ্যাঁচকা টান দিলেন চিকিৎসকের সহকারি যে, ছিন্ন হয়ে গেল শিশুর দেহ। দেহের একটি অংশ বাইরে বেরিয়ে এলেও মাথা থেকে গেল মায়ের গর্ভেই।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের জয়সলমিরের একটি সরকারি হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, ঘটনাটি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে সপ্তাহখানেক আগে। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি।

অভিযোগ, জয়সলমিরের রামগড়ের ওই সরকারি হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। শিশুর দেহের বাইরে বেরিয়ে আসা ছিন্ন অংশটি মর্গে ফেলে দিয়েছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী। অথচ শিশুর মাথা যে ওই মহিলার গর্ভে আছে, এ কথা কাউকে জানাননি তিনি। উল্টো প্রসূতি ওই মহিলার পরিবারকে ফোন করে জোধপুরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

এর পর ওই মহিলাকে জোধপুরের উমেদ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার।

উমেদ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী জানান, মহিলার প্রসব সম্পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু গর্ভের ভিতর প্লাসেন্টা রয়ে গিয়েছে।

এর পরই উমেদ হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল অস্ত্রোপচার শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা স্তম্ভিত হয়ে যান। তারা দেখতে পান, গর্ভের ভিতর একটি বিকৃত শিশুর মাথা উঁকি মারছে। তখনই অস্ত্রোপচার করে তারা ছিন্ন শিশুর মাথা মায়ের গর্ভ থেকে বাইরে বের করে আনেন।

এর পরই মহিলার পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রামগড় হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন মহিলার স্বামী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এই ঘটনায়।

ভুক্তভোগী নারী এখন উমেদ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।