ভাবির সঙ্গে তাঁতী লীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল

ভাবির সঙ্গে রাজধানীর তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন আলালের অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফাঁদে ফেলে বহু নারীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে।

তুরাগের নয়ানগর এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে ও হরিরামপুর ইউনিয়ন তাঁতী লীগ নেতার ১২.৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিও এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাঁচ লাখ টাকার একটি ঝামেলা মিটিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গাজীপুরের টঙ্গীর একটি আবাসিক হোটেলে। সেখানে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে লিপ্ত হন তাঁতী লীগ নেতা আলাউদ্দিন। আর ভাবির অজান্তেই মোবাইলে ধারণ করা হয় ওই ভিডিও।

পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে একাধিকবার দৈহিক মিলনে বাধ্য করেছিলেন এই তাঁতী লীগ নেতা। তার মোবাইল ফোন থেকে একপর্যায়ে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি, জমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। তুরাগের ল্যান্ডিং স্টেশনে তিনি দীর্ঘদিন দেহব্যবসা চালিয়ে আসছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হরিরামপুর ইউনিয়ন তাঁতী লীগ সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল বলেন, ‘আমি মিথ্যা কথা বলব না। ওই ভিডিওটি আমার নিজের। চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই ভিডিওটিই কোনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজের দোষ স্বীকার করে নিচ্ছি। এজন্য আমার জেল, ফাঁসি হলে হবে। ভিডিওটি ২০১৫ সালের শেষের দিকের‌। তবে ওই ঘটনার পর পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছিল অনেক আগেই। এখন হঠাৎ করেই একটি মহল ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের আবদার মেটাতে গিয়ে আমার নিঃস্ব হওয়ার মতো অবস্থা।’

তুরাগ থানা তাঁতী লীগের সভাপতি কিবরিয়া বলেন, ‘আলাউদ্দিন আলালের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি আমরা শুনেছি। সেটা নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি বলেন, ‘যে অভিযোগটি তার বিরুদ্ধে উঠেছে সেটি যে সত্যি তা আলাল নিজেও স্বীকার করেছে। পারিবারিকভাবে ওই ঘটনার মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল। তারপরও ভিডিওটি ফাঁস করা হয়েছে। ডকুমেন্টটি যাদের কাছে রয়েছে, তারা নাকি আলালের কাছ থেকে টাকাও দাবি করেছে।’