শহীদ মিনারে প্রিয়ভাষিণীকে শ্রদ্ধা, বিকেলে দাফন

মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে (বৃহস্পতিবার) তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সেখানে তার প্রতি নাগরিক শ্রদ্ধা জানানো হবে।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সামাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নাগরিক শ্রদ্ধা জানানো পর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পেলে হাসপাতালে কয়েক দফা চিকিৎসা নেন।

প্রিয়ভাষিণী একাত্তরের নির্মম ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।

বাংলাদেশের ভাস্কর্য চর্চায় ব্যতিক্রমী একজন শিল্পী ছিলেন। শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।