অপরিচ্ছন্ন বেরোবি ক্যাম্পাস : দ্রুত পরিচ্ছন্নতার কাজ করার আশ্বাস গঠিত কমিটির

এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : অপ্রয়োজনীয় গাছ, ঘাস-তরুলতা, কাশবনের জঙ্গলে ছেয়ে গেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পুরো ক্যাম্পাস। গত দুই সপ্তাহ আগে মেডিকেল সেন্টারের পাশ থেকে ঘাস-জঙ্গল কাটার কাজ শুরু করলেও থমকে রয়েছে সে কার্যক্রম। এদিকে পুরো ক্যাম্পাস জঙ্গলে ছেয়ে যাওয়ায় বেড়েছে মশার উপদ্রপ। তবে আগামী রবিবার থেকে ‘মিনফোর’ নামক মেশিন দিয়ে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) মো. আমিনুর রহমান।

এর আগে গত ১১ জুলাই উপাচার্য তাঁর প্রথম পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, আমার প্রথম প্রায়োরিটি (অগ্রগণ্য কাজ) হলো ‘সাপ বিতারণ করা। এর জন্য ঘাস-জঙ্গল পরিষ্কার করা হচ্ছে।’ এ উপলক্ষ্যে ৯ জুলাই থেকে দুই দিনব্যাপী ঘাসকাটা কার্যক্রম চলমান থাকে। তবে এরপর অজ্ঞাত কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কমিটির আহ্বায়ক মো. ছদরুল ইসলাম সরকার বলেন, মেশিন ক্রয় কমিটি মেশিন কিনেছে। মেশিনটি চলে এসেছে। আমরা দ্রুতই পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করবো।

সামনে-পেছনে নানা ধরণের অপ্রয়োজনীয় গাছে ছেয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবন। বিশেষ করে মসজিদের সামনে-পেছনে, লাইব্রেরির সামনে-পেছনে, একাডেমিক ভবনগুলোর পেছনে, ক্যাফেটেরিয়ার পেছনে-পার্শ্বে বিভিন্ন ধরণের ঘাস-কাশবন এবং অপ্রয়োজনীয় তরুলতায় ছেয়ে গেছে। ফলে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে মশার উপদ্রপ। বিভিন্ন স্থানে অসমতলের কারণে হারিয়েছে সুন্দর পরিবেশ। প্রতিটি বিদ্যুতের খুঁটির নিচে বিভিন্ন গাছ লাগানোয় এবং অপরিকল্পিত বনায়নে সৌন্দর্য হারাচ্ছে ক্যাম্পাস।

মসজিদের পেছনে একটি ঔষধী বাগান থাকলেও সঠিক পরিচর্যা ও উদ্যোগের অভাবে অপরিচ্ছন্ন রয়েছে সেটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের উদ্যোগে বেশ কিছু ফলও উপকারি গাছ লাগানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জায়গায় উঁচু-নিচু থাকায় অপ্রয়োজনীয় তরুলতা এবং পানি জমে রয়েছে।

তবে অসমতল জায়গা সমান করে পরিকল্পিতভাবে বনায়ন করতে গত দুই সপ্তাহ আগে এক মুঠোফোনে আশ্বাস দিয়েছিলেন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (বিটিএফও)।