হাসতে হাসতে খুন হলেন!

প্রেমিকার হাসিতে প্রেমিকের প্রাণ ঘায়েল হওয়ার কথা গল্প-কবিতায় অনেক পাওযা যায়। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টোটি। স্ত্রীর হাসি সইতে না পেরে তাঁর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সত্যি সত্যিই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের একটি জাহাজে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, স্বামী কেনেথ মানজানারেসের দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টি মানজানারেস। সে হাসি আর থামেই না! এতে কেনেথ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হত্যা করেন। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা কেনেথকে আটক করে।

শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজের কেবিন থেকে ৩৯ বছর বয়সী ক্রিস্টির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মাথায় অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় কেনেথের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রিস্টি মানজানারেস যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের। তাঁর স্বামী কেনেথের হাত ও পোশাকে রক্ত দেখে নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁকে আটক করেছে। আদালত তাঁর পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। তবে আদালতে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

নিরাপত্তা কর্মীরা ওই কেবিনে ঢোকার আগে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ঢুকেছিলেন। তিনি আদালতে বলেছেন, কেনেথ তাঁর স্ত্রীর দেহ টেনেহিঁচড়ে ব্যালকনির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি ক্রিস্টির পায়ের গোড়ালি ধরে আটক করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রত্যক্ষদর্শী কেনেথকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন। উত্তরে কেনেথ জানিয়েছিলেন, সে তাঁকে দেখে হাসি না থামানোয় এই হাল তিনি করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) বলছে, গত মঙ্গলবার রাতে এমারেল্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজে কেনেথ ও ক্রিস্টি ছিলেন। সেখানে আরও ৩ হাজার ৪০০ যাত্রী ছিলেন। তাঁরা সবাই সিয়াটল থেকে সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেনেথ আলাস্কার প্রত্যন্ত এলাকা জুনিউতে আটক আছেন। সেখান থেকে তিনি কেন্দ্রীয় আদালতে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন। আগামী ১০ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।