অযোধ্যায় রামমন্দির স্থাপনে প্রাকৃতিক বাধা, আশংকায় বিশেষজ্ঞরা

বহুল আলোচিত বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করতে গিয়ে প্রাকৃতিক বাধায় পড়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞদের মতামত, প্রস্তাবিত জায়গায় রামমন্দির করতে গেলে ধসের আশংকা রয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সচিবের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সুপ্রীম কোর্ট থেকে নির্দেশনা আসার পর চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও নির্মাণগত বাধায় মন্দির নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

মাটি পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, মন্দিরের ভর ধরে রাখার মতো ক্ষমতা নেই নির্মীয়মাণ কাঠামোর। যার জেরে সমস্যায় মন্দির নির্মাণের কাজ। ফলে বিকল্প উপায় খুঁজছে ট্রাস্ট। আইআইটি, এনআইটি, সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট (রুরকি), এবং লারসেন অ্যান্ড টিউব্রোর মতো সংস্থার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মন্দিরের প্রস্তাবিত গর্ভগৃহের পশ্চিম দিকে পানির তোড়ে বেলেমাটি ধসে যাওয়ার দরুন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্থাপত্যের নকশাকারী প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টিউব্রো যে নকশা জমা দিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২০-৪০ মিটার গভীরে ১২০০ কংক্রিট পিলার বসানো হবে।

ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাই বলেন, বেশ কয়েকটি পিলার ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২৫ ফুট নিচে বসিয়ে তার ২৮ দিন পর পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই স্তম্ভগুলির উপর ৭০০ টন ভর চাপিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু আশাতীত ফল পাওয়া যায়নি। মেশিনে যে রিডিং পাওয়া যায় সেটা আশা করা হয়নি।

তিনি বলেন, গর্ভগৃহের পশ্চিম দিকে সরযু নদী বয়ে চলেছে। যেখানে পিলারগুলি বসানো হয়েছে তার পাশেই নদীর পানি ও বেলেমাটি রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, নরম বালি স্থাপত্যের ভর ধরে রাখতে পারবে না। তাই বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করছেন কীভাবে মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছে নদীর পানিকে আটকে রাখা যায়। কীভাবে বালির উপর স্থাপত্য তৈরি করা যায় এবং কংক্রিট পিলারের স্থায়িত্ব বাড়ানো যায়।