আওয়ামী লীগই হচ্ছে জনগণের প্রকৃত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালী সমাজ আজ ধন্য। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার সাফল্য এভারেস্টের সমতুল্য। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছেন।

একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যুদয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগ ও জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টারই ফল। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দলটি ছাড়া আমাদের স্বাধীনতা লাভ সম্ভব ছিল না। আর বঙ্গবন্ধু ব্যতীত আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতে পারতাম না। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গৌরবান্বিত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সারা বিশ্বের রোল মডেল।

মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।

শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে মণিরামপুর পৌরসভা মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ কাজী মাহমদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরও বলেন- ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা শুরু। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের দমন-পীড়নের পরিবেশে টিকে থাকার লড়াইয়ে জিতেছিল দলটি।

এই দলটি কারও অনুকম্পায় কখনোই পরিচালিত হয়নি। বরং আত্মত্যাগী নেতাদের নেতৃত্বের গুণে জনগণের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছিল। আর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস তৈরি করেছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো শপথ নেন।

মহমারী করোনার মধ্যেও নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আওয়ামী লীগের বিপুল অর্জনের মধ্যে একটি বিস্ময়কর সাফল্যের মাইলফলক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল বলেই আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানিতে ভীত নন।

সাহসী ও সম্মানজনক ভূমিকার জন্য তিনি আজ বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক। সুতরাং আমাদের সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স ম আলাউদ্দীন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান তরুণ আওয়ামীলীগনেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য তাসরিন সুলতানা শোভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য শুভ, কাজী মাহমুদ পারভেজ শুভ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার জহুরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আব্দুল আলিম জিন্নাহ, আলমগীর হোসেন লিটন, ইঞ্জি. আলমগীর হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কুদ্দুস, আসাদুজ্জামান আসাদ, বাবুলাল চৌধুরী, সুমন দাস, মোঃ আজিম, গীতা রানী কুন্ডু, প্রভাষক মামুন অর রশিদ জুয়েল, যুবলীগনেতা গাজী আসাদসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।