আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজের অতীত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নবনিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি অসম্ভব কিছু না। বার্ন ইউনিট পাঁচ থেকে পাঁচশ বেডে নিয়ে আসতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গিয়েছি, প্রথম প্রথম আমাকে অনেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফাইল ছুড়ে মেরেছেন, এ রকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে সবার সহযোগিতা নিয়েই এ জায়গায় এসেছি।

 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও কখনও দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি। আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘তুমি (কাজ) কর। যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে টেলিফোন কর।’ আমি সেটাই করব।

মন্ত্রী বলেন, সেদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছ থেকে ফোন পেলাম। ভাবলাম কোনো রোগীর বিষয়ে কথা বলবেন। উনি বললেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনাকে মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করছেন।’ আমি সঙ্গে সঙ্গে কলাপ্স (নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা) করে যাচ্ছিলাম যে এ কী বলছে! আমি চিন্তা করছিলাম যে এটা কি সত্যি নাকি কোনো ভুয়া টেলিফোন। পরে যখন টেলিভিশনে দেখলাম তখন নিশ্চিত হলাম যে সত্যিই।

নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে ভালো চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেই লক্ষে কাজ করে যাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকায় রোগীদের চাপ কমাতে স্বাস্থ্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। সবার সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আপনাদের সবার কাছেই অনুরোধ- এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং যারা বাইরে আছেন, আপনারা যেকোনো সময় আমার অফিসে চলে আসবেন। আপনাদের জন্য আমার দরজায় কোনো প্রটোকল থাকবে না।