আফ্রিদির ঘরে শিকলে বাঁধা সিংহ!

উইকেট নিয়েই দুই হাত ওপরে তুলে দাঁড়ানো এবং দুই হাতের আঙুল দিয়ে ‘ভি’ দেখানো। প্রতিপক্ষকে আউট করার পর এটাই পাক অলরাউন্ডার ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদির নিজস্ব স্টাইল।

তার এই স্টাইল নকল করে ছবি তোলে তার মেয়ে। আর সেই ছবিই টুইটারে পোস্ট করে সমালোচিত হলেন আফ্রিদি।

সমালোচনা অবশ্য তাকে নকল করার জন্য নয়। সমালোচনা একটি সিংহকে ঘিরে। যে ছবিটি আফ্রিদি পোস্ট করেছেন তাতে তার মেয়ের পিছনে একটি সিংহকে দেখা যাচ্ছে।

আর সেই বন্যপ্রাণীর গৃহে বাস নিয়েই বিতর্ক। কীভাবে আফ্রিদি এ রকম বেআইনি কাজ করে ফলাও করে পোস্ট করতে পারেন তা নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।

এছাড়া অন্য একটি ছবিতে আবার আফ্রিদিকে একটি শিশু হরিণকে দুধ খাওয়াতেও দেখা গিয়েছে।

শনিবার দুটি ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। যার একটিতে ছিল তার মেয়ের ছবি। আর সেই ছবিটির পেছনেই দেখা গিয়েছে লোহার শিকলে বাঁধা ওই সিংহকে। দেখেই বোঝা যায় বেশ দুর্বল, চুপ করে শুয়ে আছে মেঝেতে।

আর তার পাশের ছবিতেই রয়েছে আফ্রিদি নিজে। কোলে একটি হরিণশাবক। দুটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো ভীষণই আনন্দের। আর সবচেয়ে ভালো অনুভূতি হলো আমার মেয়ে যখন আমারই নকল করছে এবং অবশ্যই প্রাণীদের যত্ন নিন, আমাদের ভালোবাসা এবং যত্ন ওদেরও প্রাপ্য।

আর এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘নিজেকে পশুপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরছেন আর অন্যদিকে বন্যপ্রাণীদের তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে বঞ্চিত করছেন, সিংহটাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ওর জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে।’’

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও আফ্রিদি পোষ্য সিংহের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন। তার টুইটার অ্যকাউন্টে সেই ছবিও আছে। এত নেগেটিভ প্রতিক্রিয়ার কোনও প্রত্যুত্তর অবশ্য আফ্রিদি এখনও দেননি। পশু সুরক্ষা আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না তাও এখনও জানা যায়নি।