আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা : নেপথ্যে কী?

১৩টি মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ১৩টি দেশের মধ্যে আছে- ইরান, তুরস্ক, সিরিয়া, সোমালিয়া, আলজেরিয়া, কেনিয়া, ইরাক, লেবানন, পাকিস্তান, তিউনিসিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া ও ইয়েমেন।

এর মধ্যে কেনিয়া ছাড়া প্রত্যেকটি দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। এমন সময় দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হল, যখন ইসরাইলের সঙ্গে আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে এবং দেশ দুটির মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে।

ফলে প্রশ্ন উঠেছে- এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য আসলে কী। খবর বিবিসির।

ইসরাইল-আরব আমিরাত ফ্লাইট চলাচল শুরুর দিনই ১৩টি দেশের নাগরিকদের বেলায় ইউএইর ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তাও শুধু ভ্রমণ ভিসার বেলায় নয়, কর্মসংস্থান ভিসার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হচ্ছে বিধিনিষেধ।

এসব দেশের মধ্যে কিছু দেশের সঙ্গে ইরানের খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কেন সংযুক্ত আরব আমিরাত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলো, সেটা তারা পরিষ্কার করে বলছে না। কাজেই এটা নিয়ে অনেক রকম জল্পনা চলছে।
অনেকে মনে করছেন, ইসরাইলকে খুশি করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে আরব আমিরাত।

নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ১৩টি দেশের বহু মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করে। বিশেষ করে পাকিস্তান, ইরান, সিরিয়া, লেবানন এবং আফগানিস্তানের অনেক অভিবাসী আছেন দেশটিতে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনে হয়তো নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ কাজ করছে, বিশেষ করে সম্প্রতি সৌদি আরবে ফরাসী দূতাবাসে হামলার ঘটনার পর।

কিন্তু এই যুক্তি অনেকে মানতে পারছেন না, কারণ সেই হামলায় জড়িত ছিল এক সৌদি নাগরিক। অথচ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এমন সব দেশের বিরুদ্ধে, যাদের বেশিরভাগ ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত বা যাদের সঙ্গে ইরানের উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক আছে।

শুধু তাই নয়, এই ১৩টি দেশের মধ্যে ১১টি দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সমালোচনা করেছে। কোন কোন দেশ বেশ তীব্র ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

ফলে তাদেরকে একটা শিক্ষা দেয়া এবং নতুন মিত্র ইহুদি ইসরাইলকে খুশি করা হতে পারে এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য।