আসছে কুরবানীর ঈদ: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় টুংটাং আওয়াজে ব্যস্ত কামার কারিগররা

দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করছে ঈদুল আযহার আমেজ। কয়েকদিন পরেই কুরবানীর ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে টুংটাং আওয়াজে ব্যস্ততা বেড়েছে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কামার শিল্পের কারিগরদের।

ঈদুল আযহার দিনের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। তাই ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের ও মাংস কাটার জন্য ছুরি, চাকু, দা, কোপা, বটি, কাচি, হাসুয়া, চাপাতি ইত্যাদি সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে টুংটাং আওয়াজে ব্যস্ত সময় পার করতে শুরু করেছেন কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামার শিল্পের কারিগররা। তবে বেচাকেনা এখনো তেমন জমেনি।

পৌরসদরসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও স্থানে কামার কারিগররা তাদের দোকানে কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী।

কয়েকজন কামার কারিগর জানান, আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও চায়নাসহ বিদেশী ছুরি-চাকুর প্রভাবে বর্তমানে স্থানীয় কামার শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। সারা বছর তেমন কাজ হয় না। কুরবানী ঈদের সময় কিছুটা কাজ বাড়ে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে এসব সামগ্রী তৈরিতে এখনো আধুনিকতার তেমন ছোঁয়া লাগেনি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়িয়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ।’

তারা আরো জানান, ‘এ বছর কাঠের কয়লা ও লোহার দাম বেশি হওয়ায় এসব দ্রব্য মূল্যের দাম কিছুটা বেশি।’

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকেন। এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতির ব্যবহার করা হয়।

কলারোয়ার আনন্দ কর্মকার, বামনখালীর ফজলেপুর বাজারের উত্তম সেন কর্মকারসহ এই সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত কয়েকজন জানান, ‘আমরা স্পিং ও লোহা ব্যবহার করে দা, বটি ও ছুরি তৈরি করছি। তবে স্পিং লোহা দিয়ে তৈরি জিনিসের দাম বেশি। দা এর দাম কেজি হিসেবে ৮০ টাকা দরে ৬০০ টাকা, ছুরির দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা এবং বটি ২০০ টাকার মতো।’