আটক হেলালের স্বীকারোক্তি

যশোরের মনিরামপুরে পরকীয়ার জেরে হত্যা করা হয় একরামুলকে

যশোরের মণিরামপুরের ভরতপুর গ্রামের একরামুল ইসলাম হত্যা মামলায় আটক হেলাল উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামির সাথে পরকীয়া করায় মামা কামরুল ও আমিনুর রহমান পরিকল্পিতভাবে একরামুলকে হত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন-২০২২) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

হেলাল উদ্দিন ষোলখাদা গ্রামের আবু কালাম দফাদারের ছেলে।

আদালতে হেলাল উদ্দিন জানিয়েছে- মামা কামরুলের স্ত্রীর সাথে একরামুলের পরকীয়া ছিলো। কামরুল নিষেধ করলেও বিষয়টির প্রতি তিনি কর্ণপাত করতেন না। চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে মামা আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম ফোন করে একরামুলকে হত্যার বিষয়টি তাকে জানায়। এরপর তারা একরামুলের লাশ বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে তার গ্রামে নিয়ে যায়। ওই রাতে তারা তিনজন মদনপুর শৈলীর মাঠের একটি পুকুর পাড়ে গর্ত করে একরামুলের লাশ মাটি চাপা দিয়ে রেখে ছিল বলে জানায় আটক হেলাল।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে- চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে একরামুল নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হলে পিবিআই ৩০ মার্চ কামরুল ও তার ভাই আমিনুর রহমানকে আটক ও তাদের স্বীকারোক্তিতে একরামুলের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে আটক দু’জনসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম আটক দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হেলালকে আটক ও রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

হেলাল নিহত একরামুলের লাশ গুমের ব্যাপারে দুই মামাকে সহযোগিতা করেছিল বলে জানিয়েছে।