আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের স্থানীয় প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে।

এ ঘটনায় রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী। পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ তার।

এর আগে এ ঘটনার বিচার চেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারী।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের আমজাদ মিয়া বাড়ির মৃত ছাবিদুল হকের ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের স্থানীয় প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা। ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গত ৭ বছর থেকে প্রবাসী স্বামী আমাকে ঘরে নিচ্ছেন না। আমার দুটি সন্তান রয়েছে।

সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীর সংসারে যাওয়ার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে এমপির প্রতিনিধির কাছে যাই। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় এমপির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হককে অবগত করি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে আনোয়ারুল হক গত বছরের ২৯ মে তার লক্ষ্মীপুরের ভাড়া বাসায় আমাকে ডেকে ধর্ষণ করেন।

পরে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন এমপির প্রতিনিধি। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত এক বছর ধরে আমার সঙ্গে সে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে টালবাহানা শুরু করে।

এ বিষয়ে সুবিচার পাওয়া জন্য আমি সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ও কোনো বিচার না পেয়ে আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করি।

নির্যাতিতা ওই নারী আরও বলেন, স্বামীর সংসারে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করায় আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এমপির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি তিনি।

জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা পাটোয়ারী বলেন, এটা এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। সংবাদকর্মীদের অতি উৎসাহী হওয়া ভালো নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন টেলিফোনে বলেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।