ইবিতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ৩৬ টি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৯ মে) বেলা এগারো টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশনটি জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আসন গ্রহণের পর অতিথিদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহবু্ুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়াও ওরিয়েন্টেশন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরিন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব।

এসময় ওরিয়েন্টেশন বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়াও ছাত্র-উপদেষ্টা ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম আয়োজন কমিটি ২০২৩-এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীনের সভাপতিত্বে এবং ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান, ডিনবৃন্দের পক্ষে প্রফেসর ড. এইচ. এন. এম. এরশাদ উল্লাহ, বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দের পক্ষে প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, আইআইইআর-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান, পরিবহণ প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে গঠিত অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রেবা মণ্ডল, গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আব্দুল লতিফ, পরীক্ষা-নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সিরাজুল ইসলাম।

ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সবুজে ঘেরা, পাখির কলতানে মুখরিত এই অঙ্গনে তোমাদেরকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাই । তিনি বলেন, তোমরা যখন বেড়িয়ে যাবে যেনো আমরা বলতে পারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের অবস্থানের জন্য আমরা ধন্য। তিনি আরও বলেন, তোমরা যখন ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলে তখন তোমার পিতা-মাতা তোমাদেরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। সব উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে যখন তোমরা ভর্তি হলে তোমাদের পিতামাতা তোমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন। আজ থেকে তোমাদের কমিটমেন্ট হোক, এই স্বপ্নকে তোমরা ভাঙ্গবে না। পিতামাতা এবং শিক্ষকদেরকে অতিক্রম করে তোমরা এমন জায়গায় যাও যেনো আমরা দেখতে পাই তোমরা উজ্জ্বল তারা হয়ে জ্বলছো।

এর আগে প্রত্যেক ইউনিটের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ২জন করে মোট ৮জন শিক্ষার্থীকে ফুল ও স্যুভেনির এবং পরে নবীনদের সবাইকে রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে বরণ করা হয। সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।