‘ইহুদিদের নিজস্ব ভূখণ্ডে অধিকার আছে’

বহুল আলোচিত সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইহুদিদের নিজস্ব ভূখণ্ডের অধিকার রয়েছে। তিনি এমন এক সময় এমন মন্তব্য করলেন যখন অধিকৃত ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় বেশ উত্তাল মুসলিম বিশ্ব।

বিন সালমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য আটলান্টিক নামক এক ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাত করে বলেন, বসবাসের জন্য নিজেদের আলাদা ভূখণ্ড রাখার অধিকার ইসরাইলিদের রয়েছে।

সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে এখনোকোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব ঠিক রাখতে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে সৌদি আরব।

এ কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, দুপক্ষই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে তাদের বিশাল হুমকি বলে মনে করছে। ফলে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও শক্তি মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ভাল করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব।

এমনকি গত নভেম্বরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানকে মোকাবেলায় তার দেশ প্রয়োজনে সৌদি আরবের সাথে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্যেও প্রস্তুত রয়েছে।

সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইসলাম পন্থী সশস্ত্র জঙ্গিদের উত্থানকেও দুই দেশই বর্তমান সময়ের বড় ঝুঁকি বলে মনে করে। ফলে গত কয়েক মাসে ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক বেশ নিবিড়ও হয়ে উঠেছে।

এছাড়া সিরিয়া পরিস্থিতি এবং ইরান এবং লেবাননের হেজবুল্লাহ গ্রুপের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধির ফলেও কিছুটা শঙ্কিত ইসরায়েল।

ওই সাক্ষাতকারেমোহাম্মদ বিন সালমান কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, ইহুদি সম্প্রদায়ের তাদের পূর্বপুরুষের স্বদেশের অন্ততপক্ষে একটি রাষ্ট্র-রাষ্ট্রের অধিকার আছে কি না?

উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি মানুষ, কোথাও না কোথাও তাদের শান্তিপূর্ণ জাতি হিসেবে বসবাস করার অধিকার আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনিরা এবং ইসরায়েলিরা তাদের নিজস্ব জমি ব্যবহার করার অধিকার রাখে, কিন্তু প্রত্যেকের জন্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমাদের একটি শান্তি চুক্তি থাকতে হবে।

২০০২ সাল থেকে, সৌদি আরব আরব শান্তি ইনিশিয়েটিভের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, যা ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্বে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের আয়োজন করে।