ইয়েমেনে সৌদি আরবের পাল্টা জবাব

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এক সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা জবাব দিয়েছে রিয়াদ। সৌদি সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস শনিবার জানায়, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট শুক্রবার রাতে ইয়েমেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।

হুতি বিদ্রোহীদের সংবাদমাধ্যম ‘আল-মাসিরাহ’র খবরে দাবি করা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করে দু’দফা এই বিমান হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান থেকে নিক্ষেপ করা বোমাগুলো মন্ত্রণালয়ের পাশের একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে লোকজনকে উদ্ধার করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তেহরান মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের তৈরি অস্ত্রের বাজার পেতে হুতি বিদ্রোহীদের ব্যবহার করছে। ইয়েমেন থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করায় দু’দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হবে সেটাই স্বাভাবিক। এর ফলে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যেও উত্তেজনা দেখা দেবে।
মার্কিন এয়ার ফোর্সের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফরি হেরিজিয়ান জানান, সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের ছাড়াও অন্যান্য পক্ষের কাছে বাজার পেতেই একাজ করছে বলে তাদের ধারণা।
গত ৪ নভেম্বর ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করে সৌদি পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এগুলো ইরানের তৈরি। এই অঞ্চল অশান্ত করতে ইরান হুতি বিদ্রোহীদের কাজে লাগাচ্ছে বলেও সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করে। এরপর থেকেই ইয়েমেনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
ডুবাই’এ এক সংবাদ সম্মেলনে জেফরি আরও বলেন, কিভাবে ইরানের অস্ত্র ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের কাছে পৌঁছালো সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ সৌদি জোট অভিযান শুরু করার পর থেকে ইয়েমেনের আকাশ, জল এবং স্থলপথের নিয়ন্ত্রণ মিত্রপক্ষের হাতেই রয়েছে।
অবশ্য হুতি বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান। যদিও সৌদি আরবের অভিযোগ হুতি বিদ্রোহীদের দ্বারা ইয়েমেনে আগ্রাসনের পেছনে তেহরানের হাত রয়েছে।