ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা ভাবনা : কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনা করছে।’

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় নিজ বাসভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনা করছে।

গত ১৪ এপ্রিল সারাদেশে শুরু হওয়া এ সর্বাত্মক লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হলো লকডাউন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সচিবদের সভায় লকডাউন বাড়ানেরা এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানি জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়- করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সরকার।

চলমান কঠোর লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে সোমবার সকালে বিবৃতি দেয় দেশে করোনা বিস্তার রোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির বিশেষজ্ঞরাও। পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির ৩১তম অনলাইন বৈঠকে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।

উল্লেখ্য, সারাদেশে গত ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া এ সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল ২১ এপ্রিল। তার আগেই রোববার রাতে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় ‘কঠোর লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এরপরই সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের সভা থেকে লকডাউন বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত এলো।

এদিকে, চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রোববার (১৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সুপারিশ করা হয়।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে এক ভার্চুয়াল সভায় করোনা সংক্রমণ এর অবস্থা ও প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সারাদেশে কোভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।

দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে। পাশাপাশি সভা সামাজিক সমতার বিষয়েও নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।