কলারোয়ায় কড়া নিরাপত্তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম, ভোরে ব্যালট পেপার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। প্রতি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা সংগ্রহ করছেন এসব উপকরণ। নির্বাচনের দিন ভোরে পৌছাবে ব্যালট পেপার।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের সামনে গিয়ে যায় উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে প্রতিটি কেন্দ্রের এসব জিনিসপত্র সংগ্রহের কাজ। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার, পুলিশ আনসারসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরঞ্জামাদি ও কাগজপত্র বুঝে নিয়ে কেন্দ্র যাচ্ছেন। বিকেলের আগেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে যায় নির্বাচনী এসকল সরঞ্জাম।

রবিবার (৭ জানুয়ারী) সকাল ৮ টা হতে বিরতিহীন ভাবে বিকাল চারটা পর্যন্ত নির্বাচন।

কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকছে। এছাড়া, জেলা প্রশাসনের একাধিক ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকছেন। কেন্দ্রে থাকবে বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকও।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তালা উপজেলার ৯৩টি কেন্দ্রে ৯৩জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৫৪২ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১০৮৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কলারোয়া উপজেলার ৭৫টি কেন্দ্রে ৭৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪৩৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৮৭৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

এ দুটি উপজেলায় ১৬৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১১২টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তালায় ৯৩টি কেন্দ্রের ৪৩টি এবং কলারোয়ায় ৭৫টির মধ্যে ৭৫টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা জেলার তালা ও কলারোয়া এই দুটি উপজেলা ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-১ আসন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪শত ৪০। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৪০ জন। রয়েছেন ২জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
এর মধ্যে তালা উপজেলায় ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৭ এবং কলারোয়া উপজেলায় ২ লাখ ০৯ হাজার ৬০৬ ভোটার।

সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন (নৌকা), জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত (লাঙ্গল), স্বাতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগ) নুরুল ইসলাম (ট্রাক), স্বতন্ত্র মাস্টার নুরুল, আ.লীগ নেতা সরদার মুজিব (দোলনা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের এড. ইয়ারুল ইসলাম (ডাব), তৃণমূল বিএনপির সুমি ইসলাম (সোনালী আঁশ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও ব্যালট পেপারে নাম-প্রতীক থাকবে আ.লীগের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান ও সাবেক হতে যাওয়া বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহের নাম।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় বলেন, নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকল ধরনের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুত। আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে।