কলারোয়ায় বইছে দূর্গা পুজোর আমেজ, ৪৪টি মন্ডপে হচ্ছে পুজো

কলারোয়া উপজেলা ব্যাপী বইতে শুরু করেছে শারদীয়া দূর্গা পুজোর আমেজ। কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপুজো।

শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা প্রস্তুত কররতে মৃৎ শিল্পিরা। একই ব্যস্ততা ডেকারেটারের লোকজন সহ আয়োজক কমিটির।

শরতের আগমণীতে দুঃখ দৈন্য নিপীড়িত মর্ত্যলোকের মানব মাঝে মহাশক্তির অধিকারীনিরুপে আবির্ভূত হন শ্রীশ্রী মহামায়া মা দূর্গা। তখন আলোকিত হয়ে ওঠে দশদিশি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবছর কলারোয়া উপজেলা ব্যাপি ৪৪টি সার্বজনীন দূর্গাপুজো শুরু হতে যাচ্ছে।

আগামি ৬ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের আগমন ঘটবে। ১০ অক্টোবর পঞ্চমীতে বোধন ঘট স্থাপন।

‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’ ঢাক ও কাসির বাজনা ছাড়াও মায়েদের কপাল সিন্দুরে রাঙানোর মধ্য দিয়ে ১৫ অক্টোবর বিজয় দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপুজা।

উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে- অনেক স্থানে শিল্পীরা মাটির কাজ শেষে প্রতিমা রং করার কাজ চলছে রংঙের পরে তারা পূজা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবে বলে জানাযায়।

উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায় জানান- উপজেলায় ৪৪টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

পৌর সদরে ৮টি, জয়নগর ইউনিয়নে ৬টি, জালালবাদ ইউনিয়নে ১টি, কয়লা ইউনিয়নে ২টি, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে ২টি, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ৩টি, সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২টি, চন্দনপুর ইউনিয়নে ৩টি, কেরালকাতা ইউনিয়নে ২টি, হেলাতলা ইউনিয়নে ৩টি, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি, দেয়াড়া ইউনিয়নে ৫টি।

কলারোয়ায় ৪৪ টি পুজো মন্ডপের মধ্যে ৫টি পূজা মন্ডপ আতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- দেয়াড়া ২টি, জয়নগর ২টি, ও যুগিখালি ১টি।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী জানান, এবার কয়েকটি মন্ডপে অতিরিক্ত আকর্ষণ থাকায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় থাকতে পারে। তবে করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ না আসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির খায়রুল কবির কলারোয়া নিউজকে জানায় এবছর কলারোয়া উপজেলায় ৪৪ মন্ডপে দূর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দর্শনার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা দর্শণ করতে পারে সেজন্য স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও কঠোর অবস্থানে থাকবে।

যাথাযোগ্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা ও আড়ম্বরের সঙ্গে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ পুজো কে ঘিরে যাতে কেউ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য প্রসাসনের দিক তিন স্তরের থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান।