কাতারকে একঘরে করা ইসলামবিরোধী

সৌদি আরব ও তার কয়েকটি মিত্রদেশ কাতারকে যেভাবে একঘরে করার চেষ্টা করছে, তা ইসলামবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান।

মঙ্গলবার এক বক্তব্যে এরদোয়ান বলেন, কাতারের ক্ষেত্রে এক গুরুতর ভুল করা হচ্ছে। তাদের বিচ্ছিন্ন করার এই চেষ্টা অমানবিক এবং ইসলামী মূল্যোধের বিরোধী। এটা এটা কাতারকে মৃত্যুদণ্ড দেবার সামিল।

গত ৫ জুন সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ও অর্থযোগানের অভিযোগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, জর্দান, মিশরসহ কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

এমনকি, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের নৌ ও স্থলবন্দর ব্যবহারে কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। যার ফলে কাতারে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট দেখা দিতে পরে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো।

এ সময় সংকটাপন্ন কাতারকে সাহায্য দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। তুরস্ক এবং ইরানের পর এখন মরক্কোও কাতারে বিমানে করে খাবার পাঠিয়েছে। তুরস্ক দুধজাত খাবার, মুরগির মাংস, এবং ফলের রস পাঠিয়েছে।

মরক্কো বলছে, পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমদের পারস্পরিক সাহায্যের চেতনা থেকে তারা বিমানে করে খাদ্যসামগ্রী পাঠাবে।

উপসাগরীর দেশগুলোর মধ্যে কাতারের সঙ্গে তুরস্কের বেশ উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং কাতারকে তারা ঐ অঞ্চলের প্রধান মিত্র বলে গণ্য করে। স্বভাবতই কাতারের বিরুদ্ধে অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর অবরোধ আরোপের ঘটনায় তুরস্ক বেশ ক্ষুব্ধ।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এই অবরোধের সমালোচনা করেছেন খুবই কড়া ভাষায়। কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক যেভাবে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে, কাতারের অবস্থানও তাই। কাজেই মানুষকে বোকা বানানো বন্ধ করা উচিত।

তুরস্কের পার্লামেন্ট গত সপ্তাহে কাতারের একটি তুর্কী সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।