কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা

সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ছয়টি আরব দেশ সোমবার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। মালদ্বীপ ও লিবিয়ার একাংশও সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারে একমত হয়েছে। তবে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো সৌদির সম্পর্কছিন্ন করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াও নিজ নিজ অবস্থান প্রকাশ করেছে। ফলে কাতার ইস্যুতে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। তাতে দেশটিতে আগামী ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। জানিয়েছে ইংরেজি দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।

তবে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা মঙ্গলবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে তারা। আরব দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করা বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি সংস্থাটি।

আগামী ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কাতার। যার মাধ্যমে ২০০২ সালের পর আবারো এশিয়ার কোনো দেশে বসবে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। তাছাড়া আরব অঞ্চলে এটিই হবে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ। তাই জোরেশোরেই স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কাতার।

বিবৃতিতে ফিফা আরও জানায়, তারা এরই মধ্যে ২০২২ বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা বলেছে। বৈঠক করেছে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ‘সর্বোচ্চ কমিটি’র সঙ্গেও। নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

চলমান সংকট নিয়ে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জার্মান ফুটবল সংস্থার (ডিএফবি) প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড গ্রিন্ডেল জানিয়েছেন, ‘বিশ্বব্যাপী ফুটবল সম্প্রদায়ের এই বিষয়ে একমত হওয়া উচিত। এমন কোনো দেশে বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিত না যারা সরাসরি সন্ত্রাসকে সমর্থন দেয়।’

উল্লেখ্য, ৫ জুন ২০১৭ সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় ছয়টি আরব দেশ। দেশগুলো হচ্ছে: সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। দেশগুলোর পক্ষ থেকে কাতারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে কাতার বলছে, ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য পরিষ্কার। তারা আমাদের ওপর রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার এবং খবরদারি করতে চায়। এটা কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।’