কাতার সংকটে সন্দেহের তীর রুশ হ্যাকারদের দিকে

কাতার ইস্যুতে এবার সন্দেহের তীর রুশ হ্যাকারদের দিকে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, কাতারের সংবাদ মাধ্যম হ্যাক করে সৌদি আরব ও তার জোটের ব্যাপারে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে রাশিয়ার হ্যাকাররা হাত থাকতে পারে। বুধবার পাকিস্তানের ইংরেজি পত্রিকা ডন এর অনলাইনে এমন খবরই প্রকাশ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেন কাতারি মিডিয়া হ্যাকের পেছনে রাশিয়ার হ্যাকাররা দায়ী। তারা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পলিসিকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে চাচ্ছিল। রাশিয়ার হ্যাকাররা গত বছর মার্কিন নির্বাচনেও প্রভাব ফেলার চেষ্টা করেছে। যদিও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সেটা অস্বীকার করা হয়ে আসছে।

এদিকে, কাতার সংকটে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। চলমান কাতার সংকটে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে ক্রেমলিনের এক উপদেষ্টা আন্দ্রেই ক্রুটসকিখ ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থার কাছে বলেন, ‘আমরা এ ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। যখনই কিছু ঘটে অভিযোগ উঠে এটা হ্যাকারদের কাজ। এটা খুবই দুর্বল অভিযোগ। এবং এর কোনো ভিত্তি নেই। আর তদন্ত পরিচালনার আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘

উল্লেখ্য, কাতারের সরকারী গণমাধ্যম হ্যাক করে সেখানে কাতারের আমিরের নামে সৌদি বিরোধী ও ট্রাম্প বিরোধী মন্তব্য ছাপা হয়েছিল। সেখানে ইরানের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছিল আর ট্রাম্প নিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তিনি ক্ষমতা শেষ করতে পারবেন কিনা। এছাড়া, গত ২৩ মের হ্যাকিং সৌদি রাজকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং তার বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে কাতারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে বাধ্য করেছে বলে বলা হচ্ছিল। যদিও কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এফবিআই তদন্তকারী দলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন সাইটগুলো হ্যাক হয়েছিল এবং সেখানে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল।