ভুটানের রাজা আসছেন কুড়িগ্রাম পরিদর্শনে

কুড়িগ্রাম হতে পারে চারদেশীয় বাণিজ্য ও যোগাযোগের কেন্দ্র বিন্দু

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জায়গা পরিদর্শন করতে আসবেন ভুটানের রাজা। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে গোটা কুড়িগ্রামে বইছে আনন্দ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। তিনি ২০২৩ সালের ০৬ মে লন্ডনে এক সাক্ষাৎকারে ভুটানের মহামান্য রাজাকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তখন থেকেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ব্যাপারে ভুটান আগ্রহ প্রকাশ করে । কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ভুটান সরকারের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়। গত ১০.০৩.২০২৪ ইং তারিখ কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা ব্রিজের পূর্ব দিকে মাধবরাম মৌজায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।তাঁর মতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান দেখে তিনি মুগ্ধ এবং স্থানটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত। ২৫ মার্চ/২০২৪ তারিখ ভুটানের রাজার সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৮ মার্চ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।

কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টশোলিং এলাকার দূরত্ব মাত্র ১৯০ কিলোমিটার। ফলে সোনাহাট স্থল বন্দর দিয়ে সহজে সড়ক পথে মাত্র কয়েক ঘন্টায় যাতায়াত করা সম্ভব। ফলে ভুটানের সাথে যৌথ উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হলে জেলার আর্থ-সামাজিক অবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটবে। সর্বোপরি জেলার স্থল সীমান্ত পথে বহুল প্রতীক্ষিত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু তরান্বিত হবে। কুড়িগ্রাম হবে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের সাথে সংযোগকারি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সম্পর্ককে শুধু দ্বিপক্ষীয় চোখ দিয়ে নয় বরং আঞ্চলিকতা দিয়ে দেখা দরকার। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ওই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। কুড়িগ্রামের সঙ্গে ভারত ও ভুটানের কানেক্টিভিটি বেশ ভালো। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার অধীনে পানি, বিদ্যুৎ এবং কানেক্টিভিটি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারত। এটা সফল করতে হলে ওই ৪টি দেশের একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা ও বোঝাপড়া অত্যন্ত জোরালো হতে হবে। ভুটানের থিম্পুতে বাংলাদেশের সহযোগিতায় একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং ভুটানে গেলিফু জেলায় বাংলাদেশের অর্থায়নে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথাও ভাবছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের সাথে ভুটানের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অপরিসীম ও বহুমাত্রিক।এই দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উভয় দেশের জন্য উইন-উইন পরি্স্থিতি।স্থলবেষ্টিত দেশ হিসেবে ভুটান বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য পরিচালনা করে মূলত ভারতের মধ্য দিয়ে স্থলপথে। ভারতে আসামের ধুবরি বন্দর থেকে স্থল পথে ভুটানে সহজেই যাতায়ত করা যায় এবং ধুবরি থেকে নৌ পথে ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারি বন্দরে আসা যায় এমনকি চট্রগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়্ যা আন্তর্জাতিক যোগাযোগের রুট হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও ধুবরি বন্দর ও কলকাতা বন্দরের মাঝে সংযোগকারি বন্দর হিসেবে চিলমারি বন্দরের গুরুত্ব অত্যধিক।চিলমারী বন্দরসংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে ব্রিটিশ আমলে বড় বড় জাহাজ চলাচল করত, পণ্যবোঝাই জাহাজ নোঙর করত। ভারতের কোচবিহার, আসাম, মেঘালয় এবং চীন ও মিয়ানমার থেকে আসত এসব পণ্যবাহী জাহাজ।

বাংলাদেশে ভুটানের খনিজ পদার্থ যেমন-কয়লা, পাথর ও ফলমুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসকল পণ্য সোনাহাট স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গে এবং ভারতের ধুবরি হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে জলপথে চিলমারি বন্দর দিয়ে জলপথে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল সহ দেশের অন্যত্র অতি সহজে পাঠানো যাবে। সড়ক পথে প্রতি কিলোমিটারে প্রতি টনের খরচ ২.৫৮ টাকা, রেল পথে ১.৪১ টাকা এবং জল পথে মাত্র ১.০৬ টাকা। সেদিক বিবেচনায় কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ তথা চিলমারি নৌ বন্দর দিয়ে ভারত,নেপাল ও ভুটানের সাথে মালমাল পরিবহণে সময় ও খরচ দু’টিই কম লাগবে। কুড়িগ্রামের এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে একদিকে যেমন জেলার উন্নয়ন হবে অন্যদিকে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ,ভারত,নেপাল ও ভুটানের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে।উদাহরণস্বরূপ, একটি ২০০ টন ওজন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ ১০ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ২০ টি ট্রাকের মালামাল একসঙ্গে পরিবহণ করতে পারবে। ফলে জ্বালানী খরচ বেচে যাবে এবং কার্বন নিঃসরণ এর মাত্রা হ্রাস পাবে এবং ভারী যানবাহন চলাচল কমে যাবে এবং মহাসড়কগুলোর আয়ুস্কাল বৃদ্ধি পাবে।

পঞ্চগড় জেলার বাংলা বান্ধা এবং জয়পুরহাট জেলার হিলি বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র সড়ক পথে ভারত থেকে মালামাল পরিবহণের সুবিধা আছে। এ দুটি জেলা বা স্থান থেকে জলপথে যোগাযোগের কোন সুবিধা নেই।
কিন্তু কুড়িগ্রামের ক্ষেত্রে দু’টি স্থল বন্দর এবং একটি নৌ বন্দরের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করার সব ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও ব্রিটিশ আমলে যখন অবিভক্ত বাংলায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারি রেল স্টেশন দিয়ে ভারতের সাথে সার্বক্ষনিক রেল যোগাযোগ ছিল। বৃটিশ আমলে ১৮৮৭ সালে তৎকালীন ‘নর্দান বেঙ্গল রেলওয়ে’ বেঙ্গল ও আসামের সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধা সম্প্রসারনের লক্ষ্যে রেলপথ চালু করে। আসামের ধুবড়ি জেলার গোলকগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সোনাহাট, পাটেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী রেলস্টেশন অতিক্রম করে ভারতের বামনহাট, নিউগীদালদহ এবং গীদালদহ রেলস্টেশন হয়ে একটি পথ ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর থেকে ৫-৬কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে পাইকেরছড়া ইউনিয়নে হারিয়ে যাওয়া এই রেলপথের একটি স্মৃতি চিহ্ন ১২০০ ফুট লম্বা সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজটি সেই নিদর্শন বহন করে এখনও টিকে আছে। দেশের সর্বশেষ সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের হারিয়ে যাওয়া রেল সংযোগ পুনরায় চালু এখন সময়ের দাবি । কুড়িগ্রামের এই রেল সংযোগ চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টারসহ ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে ট্রানজিট হিসেবে গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে।কাজেই কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থল বন্দর দিয়ে সড়ক পথে যেমন যোগাযোগ রয়েছে তেমনি রয়েছে রেল পথে যোগাযোগ রক্ষার সম্ভাবনা। আবার ধরলা নদী হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম থেকে নদীপথে রয়েছে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা ও সম্ভাবনা। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।১৯৮০ সাল থেকে সরকারিভাবে ভুটানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশের কাপ্তাইতে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এরকম পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভুটানের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা।পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতা নদীর প্রবাহকে ব্যবহার করে ভুটান উৎপাদন করছে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ। বর্তমানে ভুটান ১২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। অথচ তারা ব্যবহার করে মাত্র ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।ভুটানে যে সম্ভাবনা রয়েছে তাতে ৩০ হাজার মেগাওয়াট পানি বিদ্যুৎ তারা উৎপাদন করতে পারবে। তারা ২০২০ সালের মধ্যে ভুটান ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এক্ষেত্রে ভুটান ভারতের কারিগরি সহযোগিতায় এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
উদ্বৃক্ত বিদ্যুৎ ভুটান ভারতের কাছে অতি সস্তা দামে (ফ্রেন্ডলী প্রাইস) বিক্রি করে থাকে। ভুটানের উদ্বৃক্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি করতে পারলে এদেশে কোন লোডশেডিং থাকতো না। ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমির উপর দিয়ে গ্রিড লাইন স্থাপন করে বিদ্যুৎ আনয়ন করা সম্ভব।হিমালয় অঞ্চলে প্রচুর পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য সমাপ্ত ১৬তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে হিমালয়ান রিজিওয়ানাল পাওয়ার গ্রিড স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন।ট্রানজিট এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।তেমনি বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার চুক্তির মাধ্যমে ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব।

দেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নেপাল থেকে ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে আসা বিদ্যুৎ ক্রয়ের ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।প্রাথমিকভাবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে । বাংলাদেশ এ আমদানির পরিমাণ ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।একইভাবে ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনা নিয়ে সরকার কাজ করছে ভুটানের রাজার সফর ঘিরে সেই আলোচনা জোরদার হয়েছে।ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ মার্চ/২০২৪ বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় ১৫,৬৪৮ মেগাওয়াট। ফলে বিদ্যুৎ ঘাটতির লোডশেডিং এ পড়তে হয় এদেশের মানুষকে।অথচ আমাদের কাছের দেশ ভুটানে উৎবৃত্ত রয়েছে বিদ্যুৎ। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের মাত্র কয়েক কিলোমিটারের গ্রিড ট্রানজিট পেলে বাংলাদেশ তার বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে পারে। অন্যদিকে ভুটানও বিদ্যুৎ রফতানি করে একটু বাড়তি অর্থ পেতে পারে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসর মির্জা নাসির উদ্দিন বলেন, ভুটান থেকে আমদানীকৃত বিদুৎ কুড়িগ্রামে প্রতিষ্ঠিত ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা গেলে উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে।দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেমন সস্তা গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে তেমনি সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে ভুটানিজ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি – বিদেশী অনেক উদ্যোক্তা শিল্প কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসবে যা সামগ্রিকভাবে কুড়িগ্রামের বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থানের পথ দেখাবে।