কুমিল্লার সাতটি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য

কুমিল্লা জেলার সাতটি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের পদ শূন্য। দিনের পর দিন অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় কলেজগুলোর প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কোথাও কোথাও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষকেরা।

কলেজগুলো হলো কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজ, চিওড়া সরকারি কলেজ, নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ, চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নোয়াবপুর সরকারি কলেজ ও মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল সরকারি কলেজ।
এর মধ্যে নাঙ্গলকোট, চান্দিনা ও মুরাদনগরের তিন কলেজ সম্প্রতি জাতীয়করণকৃত কলেজ।

জানা গেছে, মুরাদনগরের শ্রীকাইল সরকারি কলেজে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অধ্যক্ষের পদ শূন্য। নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজে ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে অধ্যক্ষের পদ শূন্য। দোল্লাই নোয়াবপুর সরকারি কলেজে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে অধ্যক্ষের পদ শূন্য।

এদিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের পদ ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শূন্য। চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর, কুমিল্লা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই, কুমিল্লা সরকারি কলেজে গত ১ জানুয়ারি থেকে অধ্যক্ষের পদ শূন্কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার, জাকির হোসেন ও নাজমুল হাসান বলেন, শহরের অন্যতম বড় কলেজে অধ্যক্ষ নেই। দ্রুত এই পদ পূরণ হওয়া দরকার।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক সোমেশ কর চৌধুরী বলেন, ‘দুই বছর আগে জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিচ্ছে। এখন সব মিলিয়ে কুমিল্লার সাতটি কলেজে অধ্যক্ষ নেই। আমরা শূন্য পদের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিই। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় যখন শূন্য পদ পূরণ করবে, তখন কলেজগুলো অধ্যক্ষ পাবে।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনতিবিলম্বে কলেজগুলোয় অধ্যক্ষ দেওয়া উচিত। অধ্যক্ষ না থাকলে একাডেমিক, প্রশাসনিক কর্মযজ্ঞ ব্যাহত হয়। তার ওপর বছরের পর বছর অধ্যক্ষ না থাকলে কোথাও কোথাও কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে।’