কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়ার ঘোষণা

ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় কুয়াকাটা নগরীর আবাসিক হোটেল-মোটেল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ।

ফলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব পড়লে এসব ভবনে আশ্রয় নিতে পারবেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে দক্ষিণ উপকূলে এখনো ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়েনি। আমাবস্যার জোর কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

আবাসিক হোটেলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জিয়াউর রহমান।

এদিকে ঘুর্ণিঝড়ের আগমনী বার্তায় গভীর সমুদ্র থেকে তীরে ফিরে শিববাড়িয়া নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন জেলেরা। আর এসকল জেলেদের খোঁজ খবর নিতে শনিবার সন্ধ্যায় মৎস্য বন্দরে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য মো.মহিব্বুর রহমান।

এছাড়া তিনি স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতার বার্তা চালাচ্ছেন। তিনি বলছেন, দুর্যোগে ভয় নয়, সচেতন থাকাটাই বেশি জরুরি। একইসাথে কুয়াকাটা সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞাসহ পর্যটকদের হোটেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে সবচেয়ে ভাঙ্গন কবলিত উপজেলার লালুয়া ইউপির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অনেক বাসিন্দারা ইতোমধ্যে আশ্রয়ন কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।

লালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন জানান, তার এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে হালীম খান দাখিল মাদ্রাসায় শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে এখনো পর্যন্ত শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের শ্রমজীবী মানুষও রয়েছে।

এদিকে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড়টির প্রভাবে পায়রা বন্দর সমূহকে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ফলে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপকূলে ১৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৯ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতার লক্ষে তিন হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল রুম চালু আছে,নগদ অর্থসহ চাল মজুদ রয়েছে। সর্বপরি আমরা সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছি।

সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এটি আল্লাহর হাতে। তবে আমি খবর পাওয়ার পর থেকে একদিনও ঘরে বসে থাকিনি। প্রতিমুহূর্তে খোঁজ খবর রাখছি, যাতে কেই বিপদগ্রস্ত হয়ে না পড়ে। ঘুর্নিঝড় শঙ্কা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।