কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আঁখ চাষে লাভের স্বপ্ন বুনছে কৃষকেরা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে দুধকুমার নদ। এই নদের দুই পাড়ে চর জেগে ওঠায় সৃষ্টি হয়েছে সমতল ভূমির। জেগে ওঠা চর আর সমতল ভূমিতে আঁখ চাষ করেছেন চরাঞ্চলের কৃষক। আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচে ও অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন পাওয়ার আশায় কৃষক লাভের স্বপ্ন বুনছে।

সরেজমিনে দুধকুমার নদের চরে গিয়ে দেখা যায়, জেগে ওঠা চরের জমিতে এ বছর ব্যাপকভাবে আখের আবাদ করা হয়েছে। আখ বেশ পুষ্ট ও মোটা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। আখ কেটে তা বিক্রিও শুরু করেছেন অনেক কৃষক। কেউ আবার শেষ সময়ে আখ খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে লাভ বেশি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় খরচের অর্ধেক লাভ থাকে । আখ চাষীরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে আখ চাষ করতে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর প্রতি বিঘা জমির আখ ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। এখন প্রতি একশত পিচ আখ ৮শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকেররা এসে জমি থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আখ।

আখ চাষি আব্দুস ছামাদ বলেন, ৩৬ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তিনি জানান, এক পাইকার জমির সব আখ ৫০ হাজার টাকা দাম বলেছে কিন্তু বিক্রি করিনি।

আরেক চাষি সোহরাব হোসেন বলেন, ১ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এখন বাজার ভালো আছে খরচ বাদে অর্ধেক লাভ হবে বলে আশা করছি।

ফেরদৌস নামের আরেক চাষী জানান দেড় বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। এখনও বিক্রি শুরু করিনি।প্রতি বিঘা জমির আখ ৭০ হাজার টাকার উপরে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। চরাঞ্চলের মাটি আখ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলে জেগে ওঠা চরের জমিতে আখ চাষ বাড়ছে। আখের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।