কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের সিংগারডাবড়ীহাট দাখিল মাদ্রাসায় অর্থের বিনিময়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষাা আগেই ৪জনের চাকুরী নিশ্চিতের অভিযোগ এনে পরীক্ষা বর্জনের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রহসনের সাজানো নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছে চাকুরী প্রত্যাশিরা।

অভিযোগে জানা যায়, কুড়িগ্রাম রাজারহাটে সিংগারডাবড়ীহাট দাখিল মাদ্রসায় অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিংসারডাবরীহাট দালিখ মাদ্রসার চারটি শূন্য পদের জন্য মোট ১৮জনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অদ্য ৩ ডিসেম্বর সকাল আটটায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক লেনদেন অভিযোগ এনে লিখিত পরীক্ষা বর্জন করে কেন্দ্র ত্যাগ করেন চাকুরী প্রত্যাশি সোহেল রানা, মাইদুল ইসলাম, লাবিব, আরিফুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান।

এ বিষয়ে কলেজ সভাপতি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান আবু নূরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

পরীক্ষার্থী সোহেল রান ও মাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে মাদ্রাসা সুপার আশরাফুল ইসলাম বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য দশ থেকে পনের লক্ষ টাকা দাবি করেন। আমরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাদ্রাসা সুপার আনোয়ারুল ইসলাম কাছে বিশ লক্ষ টাকা অফিস সহায়ক পদের জন্য মোস্তফার নিকট দশ লক্ষ টাকা, নৈশপ্রহরী পদের জন্য দশ লক্ষ টাকা এবং আয়া পদের জন্য মরিয়ম বেগমের নিকট দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আগাম নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন।

কিন্তু আজ ৩ ডিসেম্বর শুধুমাত্র লোক দেখানি নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। যাদেরকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে আমরা ডিসি স্যারকে আগেই তাদের নামে অভিযোগ দিয়েছি। আমরা রেজাল্ট শেষে দেখতে হুবহু তাদেরকেই চূড়ান্ত করেছে।

অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ নিয়ে মাদ্রাসা সুপার আশরাফুল ইসলামের ব্যক্তিগত দুটি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার দুটি নাম্বাইর বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজারহাট উপজেলায় মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ উজ জামান জানান, আমাদের কাছে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এই মর্মে কোন লিখিত অভিযোগ নেই। নিয়োগ বোর্ডে রাজারহাট উপজেলার প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজারহাট উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান আবু নূর উপস্থিত ছিলেন।

কয়েকজন প্রার্থী অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা না দিয়ে বের হয়ে যান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি তো জানেনই মৌখিক অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি পরিদর্শক মোঃ বাদশা মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।