কেউ খুশি করতে পারছেন না ট্রাম্পকে!

নিয়োগের মাত্র ছয় মাসের মাথায় হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ পদ থেকে রাইনস প্রিবাসকে সরিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার প্রিবাসের স্থলে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জন ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মহাপরিচালক কেলিকে চিফ অব স্টাফ পদে নিয়োগ করেছেন তিনি। ওই দিন বিকালে টুইটারে কেলির নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এর একদিন আগে তার নতুন নিয়োগ করা জনসংযোগ বিষয়ক পরিচালক অ্যান্থনি স্কারমুচি সাংবাদিকদের কাছে তথ্য ফাঁস করার জন্য প্রিবাসকে অভিযুক্ত করেন। মেরিন কর্পসের সাবেক চার তারকা জেনারেল ৬৭ বছর বয়সী কেলি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন। আগামীকাল তিনি হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন বিস্ময়কর সিদ্ধান্তের ফলে হোয়াইট হাউসের ভিতরে ক্ষমতার লড়াই এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক থেকে এ কথা লিখেছেন সাংবাদিক এমিলি শুগারম্যান। এতে তিনি আরও লিখেছেন, ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দিন থেকে গত ৬ মাসে রায়ান্স প্রিবাস সন্তুষ্ট করতে পারেননি ট্রাম্পকে। বিবিসি লিখেছে, ট্রাম্প নতুন কমিউনিকেশন ডিরেক্টর অ্যান্থনি স্কারমুচিকে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই চাপে ছিলেন প্রিবাস। হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের কাজকর্মে আরও শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে কেলিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বহুল আলোচিত ওবামাকেয়ার বাতিল করার রিপাবলিকানদের প্রচেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর লং আইল্যান্ড সফরে গিয়ে টুইটে নিজের সিদ্ধান্তটি জানান ট্রাম্প। সফরে প্রিবাসও ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। বিবিসি জানিয়েছে, প্রিবাস সিএনএনকে বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগ করেছেন। সিএনএনের উল্ফ বিল্টজারকে তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভিন্ন পদ্ধতিতে এগোতে চাচ্ছেন। ’ বিবিসি, সিএনএন।