সময়মতো উৎপাদনে না আসায়

কয়লাভিত্তিক ১০ বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল

সময়মতো উৎপাদনে না আসায় ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় সরকার কয়লাভিত্তিক ১০টি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

রবিবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‌‘করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির ক্ষেত্রে নতুন চিন্তা এসেছে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হবে। এর অংশ হিসেবে কয়লাভিত্তিক বিদুৎ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্রকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি।’

বাতিল হওয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- পটুয়াখালী ২×৬৬০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, উত্তরবঙ্গ এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট সুপার থারমাল পাওয়ার প্লান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।

এ ছাড়া খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সিপিজিসিবিএল-সুমিতোমো এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।

২০০৮ সালের পর দেশে যে ১৮টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন পায়, তার মধ্যেই ১০টি প্রকল্প এখন বাতিল হল।

গত কয়েক বছর ধরে এসব প্রকল্পের কাজ থামকে থাকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এগুলো বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছিল বলে এর আগে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।

রোববারের সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সময়মত আসতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পাওয়ার প্লান্টগুলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এই পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বাদ দেওয়ার ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না। ভবিষ্যতে কোন অঞ্চলে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে, তার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।